E-Paper

সম্মানিত গ্রামের উন্নয়নের দিশারি পঞ্চায়েত প্রধানরা

রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত প্রধানদের উন্নয়নমূলক কাজকে স্বীকৃতি দেওয়ার এই প্রক্রিয়া আল্ট্রাটেক সিমেন্ট পরিবার শুরু করেছিল কয়েক মাস আগে থেকেই। গোটা রাজ্য থেকে কয়েকটি জেলা নিয়ে পাঁচটি জ়োনে ভাগ করা হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫ ০৮:৩৫
‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’-এর চূড়ান্ত পর্বের বিজয়ীদের সম্মান জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের সূচনায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’-এর চূড়ান্ত পর্বের বিজয়ীদের সম্মান জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের সূচনায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে সংস্থার দুই কর্তা (বাঁ দিক থেকে) অজয় ডাং এবং শ্রীকৃষ্ণন রাজামানি। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।

কেউ গ্রামে ভেঙে পড়া স্কুল ভবন সারিয়ে তুলেছেন। কেউ বা গ্রামীণ বাজারের পাকা ছাদ তৈরি করে দিয়েছেন। এমনই উন্নয়নমূলক কাজে শরিক হওয়া ১০০ জন পঞ্চায়েত প্রধানকে আগেই ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছিল। সেখান থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে ২০ জন পঞ্চায়েত প্রধানকে ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’-এর সম্মান জানানো হল বুধবার।

রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত প্রধানদের উন্নয়নমূলক কাজকে স্বীকৃতি দেওয়ার এই প্রক্রিয়া আল্ট্রাটেক সিমেন্ট পরিবার শুরু করেছিল কয়েক মাস আগে থেকেই। গোটা রাজ্য থেকে কয়েকটি জেলা নিয়ে পাঁচটি জ়োনে ভাগ করা হয়েছিল। ২৬০০টি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রায় ২৫০০ জন পঞ্চায়েত প্রধান তাঁদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। পাঁচটি জ়োনের প্রতিটি থেকে ২০ জন করে যশস্বী প্রধান নির্বাচন করা হয়। বুধবার সেই ১০০ জনের মধ্য থেকে ২০ জন পঞ্চায়েত প্রধানকে চূড়ান্ত ‘যশস্বী প্রধান’ হিসেবে বেছে নিলেন বিচারকেরা। ওই ২০ জনই জানালেন, এই সম্মান পেয়ে তাঁরা আপ্লুত।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অমৃতকুমার মণ্ডল গ্রামীণ বাজার তৈরি করে চূড়ান্ত ২০ জনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। অমৃত জানান, গ্রামীণ বাজারে বহু মানুষের জয়ামেত হয়। তাই সেখানে পাকা বাজারের প্রয়োজন ছিল। নদিয়ার পায়রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফাল্গুনী বিশ্বাস আবার তৈরি করেছেন শৌচালয়। ফাল্গুনী জানান, পথচলতি মানুষদের, বিশেষত মহিলাদের জন্য সাধারণ শৌচালয় যে খুব প্রয়োজন, তা প্রধান হওয়ার পরে তিনি অনুভব করেন। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের শৌভিক দাস কুমারগ্রাম গার্লস স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি জানান, জলবাহিত রোগ ছড়ানো আটকাতেই এই উদ্যোগ।

এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সৌরভ বলেন, “শুধু শহর নয়, গ্রামের দিকেও প্রচুর ভাল কাজ হয়। আমরা জানতে পারি না। আল্ট্রাটেকের মতো এই ধরনের উদ্যোগ খুবই দরকার।” প্রসেনজিৎ বলেন, “এখন গ্রাম অনেক বদলেছে। গ্রামে যে ভাল কাজ হচ্ছে, তার প্রমাণ এই যশস্বী প্রধানরা।”

অনুষ্ঠানে ছিলেন আল্ট্রাটেক সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও। জয়েন্ট এগ্‌জ়িকিউটিভ প্রেসিডেন্ট, জ়োনাল হেড (ইস্ট) শ্রীকৃষ্ণন রাজামানি বলেন, “গ্রাম এগোলে দেশ এগোবে। শুধু ২০ জন নয়, যাঁরা অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rural Development Award Panchayat pradhan

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy