টিকিট কেটে ট্রেনে উঠে হাতসাফাই? তা আবার হয় নাকি? প্রতিদিনের অভ্যাস মতো বছর পঁচিশের যুবকটি বিনা টিকিটেই বারাসত থেকে চড়ে বসেছিল মাঝেরহাট-হাসনাবাদ লোকালে। সকালের দিকে টিকিট কাটার রেওয়াজ এমনিতেই কম। তার উপরে পকেটমার বলে কথা। টিকিট কেটে ট্রেনে উঠে ব্যবসা চালালে ভাই-বেরাদরদের কাছে সম্মান থাকে না।
কিন্তু মঙ্গলবার পড়বি তো পড় এক্কেবারে টিকিট চেকারের খপ্পরে। ফাইনও দিতে হয়েছে দস্তুর মতো। কিন্তু তারপর থেকেই শুরু হয় ছোকরার গজগজানি। ‘কাজটা ভাল করলেন না স্যার’ অনেক বার টিকিট চেকারের কানের কাছে সে কথা ঘ্যান ঘ্যান করে গিয়েছে। টিকিট চেকার বয়সে নবীন। বিনা টিকিটের যাত্রীকে রেয়াত করার প্রশ্নই নেই, বার বারই জানিয়ে দিয়েছেন কড়া গলায়।
বেলা তখন প্রায় সাড়ে ১১টা। নিজের মনে কাজ করে চলেছিলেন চেকারবাবু। একে ধমকাচ্ছেন, তাকে চমকাচ্ছেন। কেউ সুরসুর করে ফাইনের টাকা বের করে দিচ্ছে। কেউ গাঁইগুঁই চালিয়ে যাচ্ছে সমানে। বহু টাকা ফাইন উঠে গিয়েছে তত ক্ষণে। চেকারের প্যান্টের পিছনের পকেটে উপচে পড়ছে টাকা। এমনই চলছিল বেশ খানিক ক্ষণ। এ দিকে, পটেকমারও চেকারের পাশ ছাড়ছিল না। কখনও কাকুতি-মিনতি, কখনও শাসানি এ সবই চলছিল।