উদ্বিগ্ন নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র।
বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ তিনটি ট্রলারের মধ্যে দুটির খোঁজ মিলল সোমবার। নিখোঁজ ট্রলারগুলির খোঁজে এ দিন কাকদ্বীপ থেকে বেশ কয়েকটি ট্রলার সমুদ্রে নেমেছিল। সেই ট্রলারের মৎস্যজীবীরাই বকখালি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে দুই ট্রলারের সন্ধান পান। দুই ট্রলারে থাকা ৩৩ জন মৎস্যজীবী সুস্থ আছেন বলেই মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার ওই ট্রলার দুটির ডায়মন্ড হারবারে ফেরার কথা। তবে নিখোঁজ ট্রলারটির সন্ধান মেলেনি। সেই ট্রলারে রয়েছেন ১৬ জন মৎস্যজীবী।
গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর কাকদ্বীপ ঘাট থেকে ‘এফবি বাবা নীলকন্ঠ’ এবং ডায়মন্ড হারবার মৎস্যবন্দর থেকে ‘এফবি শ্রীহরি’ ও ‘এফবি মা রিয়া’ নামে ওই তিনটি ট্রলার সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল। গত শুক্রবার দুর্যোগের সতর্কবার্তা পেয়ে গভীর সমুদ্র থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় ট্রলারগুলি। উপকূলে ফেরার সময় ওই তিনটি ট্রলারের যন্ত্র ও যোগাযোগের মাধ্যম (ওয়্যারলেস) বিকল হয়ে যায়।
মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ থেকে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া ট্রলারটিতে ১৬ জন এবং ডায়মন্ড হারবার থেকে মাছ ধরতে যাওয়া দু’টি ট্রলারের একটিতে ১৪ জন ও অন্যটিতে ১৯ জন মৎস্যজীবী রয়েছেন। ডায়মন্ড হারবার থেকে পাড়ি দেওয়ার ট্রলার দু'টিরই খোঁজ মিলেছে এ দিন।
নিখোঁজ ট্রলারের খোঁজে গত তিন দিন ধরেই তল্লাশি চালাচ্ছিল উপকূলরক্ষী বাহিনী। সোমবার হেলিকপ্টারও নামানো হয়। পাশাপাশি নিখোঁজ ট্রলারগুলির খোঁজে কাকদ্বীপ থেকে বেশ কয়েকটি ট্রলারও গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সহকারী মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুরজিত বাগ বলেন, “এখনও নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর দু’টি জাহাজ এবং একটি হেলিকপ্টার তল্লাশিতে নেমেছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy