ধর্মতলার পথে। — নিজস্ব চিত্র।
একুশে জুলাই তৃণমূলের সভায় যোগ দিতে এ বার হেঁটে কাকদ্বীপ থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিলেন দুই তৃণমূল কর্মী। প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তাঁরা পৌঁছবেন কলকাতায়। সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর পঞ্চায়েতের চৌষট্টিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা শেখ জুলফিকার আলি এবং শেখ শাহজাহান। পথে রাত্রিবাসের জন্য রয়েছে একটি ভ্যান। তা সাজানো হয়েছে ‘শহিদ’ দিবসের পোস্টারে।
দু’জনেরই বয়স পঞ্চাশ দোরগোড়ায়। জুলফিকার পেশায় শ্রমিক। শাহজাহান কৃষক। গলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি এবং সর্বাঙ্গে তৃণমূলের প্রতীক নিয়ে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন কাকদ্বীপের ওই দুই প্রৌঢ়। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার ফাঁকে কখনও তাঁরা জিরিয়ে নিচ্ছেন। আবার উঠে রওনা দিচ্ছেন গন্তব্যের উদ্দেশে। তাঁদের অনেক দিনের ইচ্ছে, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাছ থেকে দেখবেন। কিন্তু এত দিন তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের মঞ্চে দলনেত্রীকে দেখার আশা নিয়ে রোদ-জল উপেক্ষা করেই পথে নেমে পড়েছেন ওই দুই তৃণমূল কর্মী। মঙ্গলবার দুই তৃণমূল কর্মীকে দেখা গেল ডায়মন্ড হারবারের ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হেঁটে চলেছেন।
জুলফিকারের কথায়, ‘‘আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতি করি। আর আমাদের কাছে একুশে জুলাই মানে আবেগের। শহিদদের স্মরণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের প্রতীক নিয়ে হাঁটা শুরু করেছি। পায়ে হেঁটেই ঠিক একুশের সভায় পৌঁছে যাব।’’
মঙ্গলবার জুলফিকার এবং শাহজাহান ডায়মন্ড হারবার পৌঁছতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। যুব তৃণমূল নেতা শামীম আহমেদ বলেন, ‘‘তৃণমূল অন্তপ্রাণ এই দু’জন আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কী ভাবে মানুষ অসাধ্য সাধন করছেন, তা শিক্ষণীয় বিষয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy