২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু ভদ্রেশ্বরে ভাড়াটে উচ্ছেদকে ঘিরে হামলা ও বোমাবাজির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনও ধরা পড়েনি। অভিযুক্ত নান্টু ভৌমিকের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ভদ্রেশ্বর থানার খুড়িগাছি এলাকার বাসিন্দা নাণ্টুর একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে মোবাইল সারাইয়ের ব্যবসা করতেন এলাকারই বাসিন্দা গোবিন্দ চক্রবর্তী। ১৬ বছর ধরে তিনি ওই দোকানে ব্যবসা করছেন। গোবিন্দবাবু বলেন, ‘‘ভাড়ার জন্য রসিদ পেলেও কতদিনের জন্য ভাড়া তা নিয়ে মালিকের সঙ্গে কোনও চুক্তি ছিল না।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘গত ১ সেপ্টেম্বর নাণ্টু আমাকে দোকান ছেড়ে দিতে বলেন। এমনকী হুমকি দেওয়া হয়, সাত দিনের মধ্যে দোকান না ছাড়লে দোকান ভেঙে জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেওয়া হবে।’’ নিরুপায় গোবিন্দবাবু পরদিনই চাঁপদানি পুরসভার দ্বারস্থ হন। পুরপ্রধানের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে উচ্ছেদের হুমকির কথা জানান। তারপর থেকে রবিবার পর্যন্ত দোকান বন্ধ রেখেছিলেন। সোমবার বিকেলে তিনি একবার দোকান খুলে দেখতে গিয়েছিলেন সব ঠিক আছে কি না। সাড়ে ৪টে নাগাদ দোকান বন্ধ করে অন্যত্র কাজে বেরিয়ে যান।
দোকানের অদূরেই গোবিন্দবাবুর বাড়ি। অভিযোগ, পৌনে পাঁচটা নাগাদ স্থানীয় কিছু যুবক তাঁর বাড়িতে গিয়ে জানায় দোকান ছেড়ে দিতে হবে। বাড়িতে তখন গোবিন্দবাবুর স্ত্রী ও মা ছিলেন। তাঁরা ফোন করলে গোবিন্দবাবু বাড়ি ফিরে আসেন। তাঁকে দেখে ওই যুবকরা চলে যায়। একটু পরে ফের জনা পনেরো যুবক এসে গোবিন্দবাবুকে বাড়ির বাইরে ডাকে। তিনি বেরিয়ে এলে তাঁকে মারধর শুরু করে। ছেলেকে মারতে দেখে মা মুক্তিদেবী এবং স্ত্রী বেরিয়ে এসে হামলাকারীদের না মারতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা তাতে কান না দিয়ে উল্টে তাঁদের উপর চড়াও হয়। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে বাসিন্দারা ছুটে এলে তাঁদেরও কয়েকজনকে হামলাকারীরা মারধর করে। আরও লোকজন জড়ো হলে অবস্থা বেগতিক বুঝে পালানোর সময় ভয় দেখাতে হামলাকারীরা বোমা ফাটায়। বোমার টুকরোয় আহত হন গোবিন্দবাবুর ৬০ বছরের বৃদ্ধা মা মুক্তিদেবী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy