ধৃত: মৃত তারিক হোসেন মল্লিকের সৎমা সাকিলা গাজি (বাঁ দিকে) এবং স্ত্রী সাকেরা বিবি। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে বুধবার পুলিশ তাঁর সৎমা, স্ত্রী-সহ পরিবারের চার জনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে খুন করা হয়েছে তারিক হোসেন মল্লিক নামে ওই যুবককে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বকুলতলা থানার বাইশহাটা এলাকায় রাস্তার ধারে পড়েছিল বছর চৌত্রিশের তারিকের দেহ। তাঁর বাড়ি জয়নগর থানা লাগোয়া বারুইপুরের কেয়াতলায়। তদন্তে উঠে আসে, বকুলতলা থানারই ঠাকুরের চক এলাকার বাসিন্দা, তারিকের দুই সৎভাই আবির গাজি এবং সাবির গাজি খুনের ঘটনায় জড়িত। ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল তারিকের স্ত্রী সাকেরা বিবি এবং সৎমা সাকিলা গাজিও। এর পরেই বুধবার চার জনকে ধরা হয়।
তদন্তকারীরা জানান, কয়েক বছর আগে স্ত্রীর মৃত্যুর পরে সাকিলাকে বিয়ে করেন তারিকের বাবা। কিন্তু সৎমাকে মেনে নিতে পারেননি তারিক। তা নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগে থাকত। আবির এবং সাবির সাকিলার প্রথম পক্ষের ছেলে। অশান্তির জেরে তারিককে খুনের পরিকল্পনা করে তারা। পুলিশের দাবি, সেই ষড়যন্ত্রে যোগ দেয় সাকেরাও।
মঙ্গলবার রাতে তারিককে তাদের বকুলতলার বাড়িতে ডাকে আবির ও সাবির। মদ্যপান করতে করতে ওই যুবক বেহুঁশ হয়ে পড়লে চপার দিয়ে তাঁর গলায়, ঘাড়ে কোপ মারা হয়। এর পরে রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়া হয় দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, ময়না তদন্তে দেখা গিয়েছে, তিন বার ঘাড়ে কোপ মারা হয়েছিল তারিকের।
তবে সাকেরা কেন যোগ দিল স্বামীকে খুনের চক্রান্তে, সেটা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পুলিশের অনুমান, সাকেরার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল আবিরের। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পুষ্পা বৃহস্পতিবার বলেন, “পারিবারিক অশান্তির জেরেই ওই যুবক খুন হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর পিছনে আরও কী কারণ থাকতে পারে, তা দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy