Advertisement
E-Paper

বৃদ্ধের মৃত্যুর জেরে ভাঙচুর হাসপাতালে

বুকে ব্যথা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বছর পঁয়ষট্টির এক বৃদ্ধকে। ইসিজি করার জন্য দেড় ঘণ্টা অপেক্ষাও করেছিলেন তিনি। ইসিজি রুমে কোনও লোক না থাকায় ইসিজি করা হয়নি বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫৩
হামলার পরে। নিজস্ব চিত্র

হামলার পরে। নিজস্ব চিত্র

বুকে ব্যথা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বছর পঁয়ষট্টির এক বৃদ্ধকে। ইসিজি করার জন্য দেড় ঘণ্টা অপেক্ষাও করেছিলেন তিনি। ইসিজি রুমে কোনও লোক না থাকায় ইসিজি করা হয়নি বলে অভিযোগ। ব্যথা বাড়ায় ওয়ার্ডে নিয়ে গিয়ে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

হাবরা হাসপাতালের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় সুনীল পাল নামে ওই বৃদ্ধের বাড়ির লোক হাসপাতালে ভাঙচুর করে। অভিযোগ, হাসপাতালের গাফিলতির জন্যই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধের। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত করে দেখছি।’’

হাসপাতাল সুপার শঙ্করলাল ঘোষ বলেন, ‘‘ওই সময়ে হাসপাতালের মেল ও ফিমেল ওয়ার্ডে চিকিৎসক রোগী দেখছিলেন। ফলে ইসিজির টেকনিশিয়ান ওয়ার্ডে ছিলেন। কিন্তু সুনীলবাবুর পরিবারের লোকেদের পাশের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত ছিল। পাশে বহির্বিভাগে এক চিকিৎসক রোগী দেখছিলেন তাঁর কাছেও যাওয়া যেতে পারত।’’

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীলবাবুর বাড়ি মহিষা মছলন্দপুর এলাকায়। তিনি কইপুকুর বাজারে সব্জি বিক্রি করতেন। এ দিন সকালে সব্জি বিক্রির সময় বুকে ব্যথা ওঠে। পরিচিত ও আত্মীয়রা তাঁকে হাবরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে দেখে দ্রুত ইসিজি করতে বলেন। অভিযোগ, সে সময়ে হাসপাতালের ইসিজি রুমে কোনও লোক পাওয়া যায়নি। দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও ইসিজি হয়নি। এরপরেই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। যদিও সুনীলবাবুর দুই ছেলে তাপস ও তপনবাবু বলেন, ‘‘ইসিজি রুমের কাছেই বাবার মৃত্যু হয়েছিল। সঠিক সময়ে চিকিৎসা হয়নি দেখেই এ ভাবে বাবা মারা গেলেন।’’

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধের মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যেরা ইসিজি রুমে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। টেবিল ও জানালার কাচ দু’টি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সুনীলবাবু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসেছিলেন দুপুর ১২টা নাগাদ। আর তিনি মারা গিয়েছেন ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকেরা মনে করেন সুনীলবাবু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছেন।

Habra Vandalism
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy