কয়েক সপ্তাহ আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পঞ্চায়েতের প্রধান পদে সাময়িক ভাবে পুনর্বহাল হয়েছিলেন বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধান বুলা নাসরিন লস্কর।
কিন্তু সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে ওই মামলার শুনানির পরে ফের প্রধানের পদ থেকে অপসারিত হন তিনি। সোমবার এই রায় বেরনোর পর থেকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি হয়। এই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার সকালে ফের বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়ার কালীপদ মোড়, শিমুলতলা হাসপাতাল মোড় এলাকায় এই দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। পুলিশ গেলে তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার কোনও অভিযোগ হয়নি। তবে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসন্তী ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মন্টু গাজি গোষ্ঠীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল কাঁঠালবেড়িয়ার প্রধান বুলা নাসরিন লস্করের স্বামী তৃণমূল নেতা আমান লস্করের গোষ্ঠীর। এ দিন সকালে মন্টু গাজির লোকজন শিমুলতলা হাসপাতাল মোড়ে জড়ো হয়। কালীপদ মোড়ে পাল্টা জড়ো হয় আমান লস্করের লোকেরা। এরপরেই গণ্ডগোল শুরু হয়। অভিযোগ, দু’পক্ষই বোমাবাজি করে। এই ঘটনায় দু’পক্ষের ৭ জন জখম হন। পুলিশ গেলে তাদেরও লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিনই নিজের বাড়ির ধানের গোলায় বোমা মজুত করে রেখেছিলেন কাঁঠালবেড়িয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা মন্টু ঘনিষ্ঠ নেতা ফজুল লস্কর। দুপুরের দিকে সেই বোমা ফেটে ধানের গোলা উড়ে যায়। এই ঘটনার পর ফজুল গা ঢাকা দেয়।
মন্টু গাজি বলেন, ‘‘সমাজ বিরোধীদের নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে বোমাবাজি করে আমানরা। ওদের মারে আমাদের তিনজন জখম হয়েছেন। দু’টি দোকানও ভাঙচুর করে ওরা।’’ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আমান বলেন, ‘‘হাইকোর্টের রায় বের হওয়ার পর থেকে মন্টুর লোকজন আমাদের লোকজনকে মারধর শুরু করে। ওদের মারে আমাদের চারজন জখম হয়। মন্টু গাজিরা দীর্ঘদিন ধরে আরএসপির লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে আমার লোকের উপরে
আক্রমণ করছে।’’