বন্ধ ঘরের মধ্যে এক প্রৌঢ়ের গলায় গামছার ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার হল হাসনাবাদে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ভীষ্মদেব পাত্র (৫৮)। প্রতিবেশীদের দাবি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসনাবাদের দেবী মোড়ে একটি টালির চালের ঘরে ভাড়া থাকতেন ভীষ্মদেববাবু। তিনি হাসনাবাদেরই একটি হোটেলে কাজ করতেন। সপ্তাহ কয়েক আগে তার সঙ্গে এক রাজমিস্ত্রির আলাপ হয়। তাঁরা প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করত বলে অভিযোগ। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে দু’জনের ঝগড়া হাতাহাতিতে গড়ায়। লোকজন শুনেছিল, ভীষ্মদেববাবু দাবি করছেন, ওই রাজমিস্ত্রি নাকি তাঁর মানিব্যাগ চুরি করেছে। সারা রাত ধরে ঘরের ভিতর থেকে চিৎকারের শব্দ আসতে থাকে। ভোর রাতে ওই বাড়ির মালিক দু’জনকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে চাষের কাজে চলে যান।
তারপরে সকালে দরজায় তালা দিয়ে বেরিয়ে যান ওই রাজমিস্ত্রি। কিন্তু তখন ভীষ্মদেববাবুকে দেখতে না পেয়ে বাড়ির মালিকের ছেলের সন্দেহ হয়। দরজা ভেঙে দেখা যায় ঘরের মধ্যে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়ে ভীষ্মদেববাবু। তাঁর পাশে পড়ে রয়েছে ঘরের চালে লাগানো বাঁশ। ওই রাজমিস্ত্রিকে একটি ঘরে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবদ করছে।তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার জানান, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ঘটনাটি খুন না আত্মহত্যা সেটা বলা সম্ভব নয়।
গাঁজা-সহ গ্রেফতার। ২২ কেজি গাঁজা-সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় জয়নগরের কুলপি রোডের বাংলার মোড় থেকে বছর চল্লিশের নুর আলম ফকির নামে দুষ্কৃতীকে ধরা হয়েছে। তার বাড়ি বারুইপুরের পূর্ব পাঁচগাছিয়া এলাকায়। ধৃতকে শনিবার বারুইপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, ওই দিন সাড়ে ৬টা নাগাদ বাইকে চেপে গাঁজা নিয়ে মগরাহাটের দিকে বিক্রির জন্য যাচ্ছিল। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়ে বাইক-সহ হাতেনাতে ধরে ফেলে তাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy