বঙ্গোপসাগরে ভারতের জলসীমায় ঢুকে কাকদ্বীপের একটি ট্রলারে ধাক্কা মেরেছিল বাংলাদেশের ডুবোজাহাজ। তার পরেই ওই ট্রলারটি ডুবে যায়। মঙ্গলবার সকালে ওই ট্রলারে থাকা ১১ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার নারায়ণপুর ঘাটে নিয়ে আসা হল। তবে ওই ট্রলারেই থাকা পাঁচ জন মৎস্যজীবীর এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। দুশ্চিন্তায় পরিবারের সদস্যেরা। ওই পাঁচ জনের সন্ধানে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর দু’টি জাহাজ গভীর সমুদ্র তল্লাশি চালাচ্ছে।
রবিবার গভীর রাতে বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের ধাক্কায় ‘এফবি পারমিতা দশ’ নামে ওই ট্রলারটি ড়ুবে যায়। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, এফবি পারমিতায় ১৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর কাছাকাছি থাকা কাকদ্বীপের অন্য ট্রলার ১১ জনকে উদ্ধার করে। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে পড়ে যাওয়া পাঁচ ভারতীয় মৎস্যজীবীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমার কাছে মাছ ধরার সময় বাংলাদেশি নৌসেনার হামলার শিকার হন ওই মৎস্যজীবীরা। অভিযোগ, অন্ধকারে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ট্রলারটিকে ধাক্কা মারে বাংলাদেশের নৌসেনার জাহাজ। এফবি পারমিতা ১৩ ডিসেম্বর নামখানা থেকে মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে রওনা দিয়েছিল।
এই ঘটনায় বাংলাদেশের নৌসেনার আচরণ এবং পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশের দাবি, আন্তর্জাতিক জলসীমা পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিল ট্রলারটি। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ডুবে যাওয়া ট্রলারের মৎস্যজীবীদের উদ্ধার এবং গ্রেফতার না করেই কেন তড়িঘড়ি বাংলাদেশ নৌসেনার জাহাজটি এলাকা ছেড়ে চলে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ।