মিষ্টি-মুখ: মা-বাবার সঙ্গে রোকেয়া। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়।
মাদ্রাসা বোর্ডের আলিম পরীক্ষায় ৯০০ মধ্যে ৮২১ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নজির গড়ল কৃষক পরিবারের এক মেয়ে। পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক সমতুল্য এই পরীক্ষায় এ বার ৬৫ হাজার ৩৯৭ জন ছাত্রছাত্রী বসেছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ফল প্রকাশিত হয়। দেগঙ্গার চাকলা পঞ্চায়েতের রায়পুর গ্রামের রোকেয়া খাতুন বাংলা ও ইংরেজিতে ৮০-৯০ শতাংশ ও বাকি সাতটি বিষয়ে ৯০-১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে।
বাবা আব্দুর রশিদ মোল্লা চাষ করেন। দুই ছেলে, দুই মেয়ে। রোকেয়া বড়। স্থানীয় হরিণখোলা দারুল উলুম সিনিয়ার হাই মাদ্রাসার ছাত্রী সে। এ দিন গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, মেয়ের সাফল্যে সকলকে মিষ্টি খাওয়াতে ব্যস্ত বাবা রশিদ এবং মা সাহানারা বিবি। রশিদ বলেন, ‘‘আমি নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়তে পেরেছি। সব সময়ে মেয়েকে বলতাম, যতই কষ্ট হোক পড়াশোনা করে যা। নিজের পায়ে দাঁড়াতেই হবে।’’ চতুর্থ শ্রেণি পাশ সাহানারা বিবি সংসারের কাজের ফাঁকে মেয়ের পড়াশোনার উপরে নজর রাখতেন। রোকেয়ার কথায়, ‘‘এই সাফল্যের পিছনে বাবা-মায়ের যেমন ভূমিকা আছে, তেমনি মাদ্রাসার শিক্ষকদের অবদান রয়েছে।’’ দু’টি বিষয়ে গৃহশিক্ষক ছিল তার। ভবিষ্যতে ইংরেজি নিয়ে পড়ে শিক্ষক হতে চায় রোকেয়া। প্রধান শিক্ষক সহিদুল হক এ দিন বলেন, ‘‘খুব শান্ত, মেধাবী ছাত্রী রোকেয়া। ও যে ভাল ফল করবে, আমাদের আশা ছিল।’’ মাদ্রাসার ফল প্রকাশের পরে এ দিন দল বেঁধে রোকেয়ার বাড়িতে আসেন শিক্ষকেরা। বিজ্ঞানের শিক্ষক তাহের হাবিব বলেন, ‘‘এত দিন আলিম পরীক্ষায় ছেলেরাই প্রথম দিকে থাকত। রোকেয়া এই ফল করে নজির গড়ল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy