Advertisement
০২ মে ২০২৪
Murder in Diamond Harbour

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে প্রেমিকাকে খুন, জলাশয় থেকে দেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য

রব্বানি এবং অহল্লা ৬ বছর ধরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছেন। সম্পর্কে জড়ানোর সময় অহল্লা বিবাহিতা ছিলেন। রব্বানির তখনও বিয়ে হয়নি ।

Representative image of dead person

টাকা আদায় করবেন বলে ডায়মন্ড হারবার আদালত চত্বরে রব্বানির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অহল্লা। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৩ ০৯:৫৮
Share: Save:

মঙ্গলবার সকালে ডায়মন্ড হারবারের বারদ্রোন টাওয়ার সংলগ্ন এলাকার জলাশয় থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। মৃতার নাম অহল্লা সর্দার। পুলিশ সূত্রের খবর, ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। অভিযুক্তের নাম রব্বানি শেখ। ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ঢোলাহাট থানা এলাকার রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা তিনি। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার আদালতে আইন কেরানির (ল ক্লার্ক) পদে চাকরি করেন রব্বানি। রব্বানি এবং অহল্লা ৬ বছর ধরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছেন। সম্পর্কে জড়ানোর সময় অহল্লা বিবাহিতা ছিলেন কিন্তু রব্বানির তখনও বিয়ে হয়নি। সম্প্রতি রব্বানির বিয়ে হওয়ায় তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা রব্বানির স্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রব্বানির থেকে টাকা আদায় করতেন অহল্লা। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার টাকা আদায় করবেন বলে ডায়মন্ড হারবার আদালত চত্বরে রব্বানির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অহল্লা। তার পর অহল্লাকে বাইকে চাপিয়ে রব্বানি ওই চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান। দোস্তিপুর রোড হয়ে উস্তি থেকে ঘুরে শেষে বারদ্রোন এলাকায় পৌঁছন সোমবার রাতে।

সেখানেও টাকা নিয়ে বচসা শুরু হয় দু’জনের মধ্যে। সেই মুহূর্তে রাগের বশে অহল্লার ওড়না দিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন রব্বানি। মৃত্যু নিশ্চিত করতে অহল্লার দেহ জলাশয়ে ফেলে দেন অভিযুক্ত। দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করে। ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন কুমার দে জানান, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যাগের ভিতর একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। সেই ফোনের সূত্রেই খুনের সঙ্গে রব্বানির যোগসূত্র খুঁজে পায় পুলিশ। তার পর রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় খুনের দায় স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত রব্বানি। বুধবার ময়নাতদন্ত করার পর মৃতার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Diamond Harbour Dead
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE