আগুন আয়ত্তে আনতে ব্যবহার করা হয়েছে রোবট। নিজস্ব চিত্র
এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি মহেশতলার ডাকঘর এলাকার নারকেল তেল এবং স্যানিটাইজার কারখানার বিধ্বংসী আগুন। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ইতিমধ্যেই ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে কারখানাটির একাংশ। দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। আগুন আয়ত্তে আনতে নামানো হয়েছে রোবটও। প্রবল ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কারখানাটির পাঁচ কর্মী। এমনটাই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফোম ব্যবহার করেছেন দমকলকর্মীরা। তাঁদের মতে, আগুনের জেরে তপ্ত হয়ে রয়েছে কারখানাটির দেওয়াল। তা যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে, আগুন নেভাতে রোবটের ব্যবহারের নির্দেশ দেন তিনি। সুজিত বলেন, ‘‘মহেশতলা শিল্পতালুকে সকাল ১১টা নাগাদ আগুন লাগে। স্যানিটাইজারের গুদাম বলে আগুন বাড়ে। পাশে থাকা একটি নারকেল তেলের কারখানাতেও আগুন ছড়ায়। আগুন আয়ত্তে আনতে ফোম ব্যবহার করা হচ্ছে। রোবটও আনা হচ্ছে। কেউ আটকে পড়েননি। এক জন সামান্য জখম হয়েছিলেন। আগুন আমরা আয়ত্তে এনে ফেলব। তবে কিছুটা সময় লাগবে।’’
মঙ্গলবার সকাল ১১টার কিছু আগে স্যানিটাইজার তৈরির কারখানায় আগুন লেগে যায়। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে স্যানিটাইজারের ড্রামে। তা থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশা থাকা একটি নারকেল তেলের কারখানায়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয় যে, একের পর এক ড্রামে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। সেই আগুন ভয়াবহ আকার নেয়।
দুর্ঘটনার সময় জনা দশেক কর্মী কাজ করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের বার করে আনা হয়। তবে তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। আশপাশের কারখানাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
যে কারখানাটিতে আগুন লেগেছে তার পাশে থাকা অন্য একটি কারখানার মালিক প্রতীক চৌধুরী অভিযোগ করেন, ‘‘গত ১০-২০ বছর ধরে বলা হচ্ছে। ভিতরে স্যানিটাইজার তৈরি হচ্ছে অথচ ওদের কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। আমাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে বলা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। সংস্থার মালিকের এত ঔদ্ধত্য যে উনি কথাই বলতে চান না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy