বেশ কিছু দিন ধরেই ভাড়াটে তরুণী বধূকে উত্ত্যক্ত করছিল আর এক ভাড়াটে যুবক। এর পরে ফোন নম্বর চাইলে তা দিতে রাজি হননি
ওই তরুণী। শুক্রবার তিনি ঘরের উঠোনে কাজ করার সময়ে আচমকাই পিছন থেকে তাঁর গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেয় ওই যুবক। তাতে তরুণীর মাথা, মুখ ও গলার খানিকটা অংশ
ঝলসে যায়।
এ দিন অ্যাসিড হামলার এই ঘটনাটি ঘটেছে রহড়ায়। হামলার পরে অভিযুক্ত যুবক সুরজিৎ দেবনাথ চম্পট দিলেও পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের সহকারী নগরপাল (ঘোলা) তনয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তরুণীর পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্তের খোঁজ শুরু হয়। তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, রহড়া থানা এলাকার একটি বাড়িতে বছরখানেক ধরে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে ভাড়া রয়েছেন ওই তরুণী। সেই বাড়িতেই মাকে নিয়ে ভাড়া থাকত সুরজিৎ। অভিযোগ, বেশ কয়েক মাস ধরেই ওই তরুণীকে বিরক্ত করছিল সুরজিৎ। বিভিন্ন ভাবে সে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল ওই বধূকে। দিনকয়েক আগে তরুণীর ফোন নম্বর দিতে হবে বলে চাপ দিতে শুরু করে ওই যুবক। তাতে আপত্তি জানান তরুণী।
এ দিন সকালে ঘরের উঠোনে কাজ করছিলেন ওই তরুণী। সেই সময়ে পিছন দিক থেকে এসে তাঁকে আক্রমণ করে সুরজিৎ। বোতলে
আনা অ্যাসিড ঢেলে দেয় তরুণীর মাথায়, মুখে। তরুণীর চিৎকারে স্থানীয়েরা এসে তাঁকে তড়িঘড়ি বি এন বসু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। তরুণীর স্বামী বলেন, ‘‘আমি কাজে গিয়েছিলাম। ভাইপো ফোন করে খবর দেয়। সুরজিতের সঙ্গে কোনও ঝামেলা ছিল না। তবে, খুব একটা কথাও ওদের সঙ্গে
বলতাম না।’’
তাঁর অভিযোগ, ‘‘বাড়িতে কারও না থাকার সুযোগে সুরজিৎ পিছন থেকে এসে আমার স্ত্রীর গলা টিপে ধরে অ্যাসিড ঢেলে দেয়।’’ অন্য দিকে, হাসপাতাল সূত্রের খবর, তরুণীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। মিউরিয়েটিক অ্যাসিড বা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড হওয়ায় বড়সড় ক্ষতি হয়নি। তবে, এখন চিকিৎসা চলবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)