Advertisement
E-Paper

প্রথম তিন বিয়ে জেনে ফেলায় খুন চতুর্থ স্ত্রীকে

হাড়োয়ার কুলটির ঘোষপুর গ্রামে থাকতেন মাপিয়া বিবি (২২)। সোমবার বিকেলে কুলটির বিদ্যাধরী নদীর লকগেট এলাকা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০১:১২
জয়নালউদ্দিন।

জয়নালউদ্দিন।

চার স্ত্রীকে নিয়ে পৃথক চার সংসর ঠিকঠাকই সামাল দিচ্ছিলেন স্বামী। গোল বাধল, চতুর্থ স্ত্রী বাকি তিন পরিবারের কথা জেনে ফেলায়। অভিযোগ, সেই স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করে নদীতে ফেলে দিয়ে পালায় স্বামী। তবে মোবাইলের টাওয়ার দেখে মঙ্গলবার বিকেলে জীবনতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত জয়নালউদ্দিন ওরফে ফকিরকে।

হাড়োয়ার কুলটির ঘোষপুর গ্রামে থাকতেন মাপিয়া বিবি (২২)। সোমবার বিকেলে কুলটির বিদ্যাধরী নদীর লকগেট এলাকা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মাপিয়ার বাবা আসান মোল্লার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ধরে তাঁর স্বামীকে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েক বছর আগে মাপিয়াকে বিয়ে করে জীবনতলার নেত্রা গ্রামের বাসিন্দা ফকির। ওই দম্পতির দুই সন্তান। কিছু দিন আগে মাপিয়া জানতে পারেন, তাঁর স্বামীর আরও তিন বৌ আছে। শুরু হয় অশান্তি। মাপিয়াকে মারধর করে তাঁর মুখ বন্ধ করতে চেয়েছিল ফকির। এ নিয়ে গ্রামে সালিশিও হয়। কিন্তু সমাধান হয়নি। মাসখানেক আগে অশান্তির জেরে মাপিয়া বাপের বাড়ি চলে যান। ৩০ মার্চ তাঁকে ফিরিয়ে আনতে জয়নাল শ্বশুরবাড়ি যায়। কিন্তু মাপিয়া ফিরতে চাননি। অভিযোগ, মাপিয়াকে এক রকম জোর করেই নিয়ে যায় ফকির।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মাপিয়ার বাবা জানান, মেয়েকে জামাই নিয়ে যাওয়ার পরে আর মেয়ের সঙ্গে কোনও ভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। ৩১ মার্চ জামাইয়ের বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন আসান। তদন্তে নেমে পুলিশ কুলটি লকগেট এলাকা থেকে মাপিয়ার দেহ উদ্ধার করে। মৃতার চোখের কাছে ক্ষত চিহ্ন দেখে পুলিশের অনুমান, ওই তরুণীকে মারধর করে বিদ্যাধরীর জলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। খোঁজ শুরু হয় ফকিরের। মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান জেনে পুলিশ ধরেও ফেলে তাকে।

পুলিশের দাবি, জেরায় চারটি বিয়ের কথা স্বীকার করেছে ফকির। পুলিশকে সে বলে, ‘‘মাপিয়াকে অনেক বুঝিয়েছিলাম। ও আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানিয়েছিল। রাগের মাথায় মারধর করার পরে গলা টিপে ধরি। মাপিয়া মারা যায়। নদীর জলে ফেলে দিয়ে বাড়ি ফিরে যাই।’’ নানা ধরনের ছোটখাট ব্যবসা আছে ফকিরের। তার বাকি পরিবারগুলি কোথায় থাকে, তা খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।

Crime Police Murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy