পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মধ্যে ফের জঙ্গি সন্দেহে সদস্যকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম আব্বাসউদ্দিন মোল্লা। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার এলাকার পাতরা গ্রামে।
গত তিন দিনে এই নিয়ে জঙ্গি সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। তাদের মধ্যে দু’জন বীরভূমের বাসিন্দা। নলহাটি ও মুরারই থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া দুই দুষ্কৃতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডায়মন্ড হারবারের আব্বাসউদ্দিন মোল্লার নাম জানতে পারে এসটিএফ।
আব্বাসউদ্দিন ডায়মন্ড হারবারের পাতড়া এলাকার শিউলি পাড়ার বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশের সহযোগিতায় তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের বক্তব্য, গ্রামে ধর্মচর্চা করতেন আব্বাস। তাবিজ, জড়িবুটির ব্যবসাও করতেন বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তি। চার ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে যে টালির বাড়িতে থাকত।
স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ মোল্লা ও আরমান শেখ বলেন, ‘‘ধর্মচর্চা নিয়েই থাকত আব্বাসউদ্দিন। তাবিজ-কবজের ব্যবসাও করত বাড়ি থেকে। কখনও দূরে কোথাও গিয়েছে বলেও তো শুনিনি। এমনকী, বহিরাগত কেউ এসে থেকেছে ওর কাছে, তা দেখিনি।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, টালির চাল সারানোর ক্ষমতা ছিল না বলে প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে রেখেছিল ঘরে।
সংসার চলছিল টেনেটুনে। এলাকায় কারও সঙ্গে মেলামেশা করতে দেখা যেত না পরিবারের সদস্যদের শনিবার দিনভর ঘর থেকে বেরোননি বাড়ির লোকজন।
ধৃতের আত্মীয়া সালেমা বিবি বলেন, ‘‘আমাদের পরিবারে কেউ এমন কোনও সংগঠনে জড়িত নয়। আর ও তো বাড়ি থেকে বেশি বেরোতই না। ধর্মভীরু মানুষ। একটু মানসিক সমস্যাও ছিল। ওকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ এল। বাড়ি ঘিরে ফেলল। ওর নাম ধরে ডেকে ওকে বাইরে আনল, তারপরে জোর করে পুলিশ তুলে নিয়ে গেল।’’
২২ ডিসেম্বর ক্যানিং থেকে জঙ্গি সন্দেহ গ্রেফতার হয়েছিল জাভেদ মুন্সি। এসটিএফ ও কাশ্মীর পুলিশের অভিযানে ক্যানিংয়ে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ধরা হয় তাকে। পরে পুলিশ জানায়, কাশ্মীরি জঙ্গি সংগঠন তেহেরিক-ই-মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য শ্রীনগরের বাসিন্দা জাভেদ।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)