সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মূল্যায়ণে প্রাথমিক শিক্ষায় বড় রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সেরার শিরোপা পেয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, পরিকাঠামো থেকে শিক্ষকের অভাব-সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত প্রাথমিক স্কুলগুলি।
গোটা স্কুল ভবনে চারটি কক্ষ। তার মধ্যে দুটির হাল এমনই, তা ব্যবহারযোগ্য নয়। বাকি দুটি ঘরেই চলে পাঁচটি ক্লাস। অপেক্ষাকৃত ভাল ঘরটিতে ক্লাস চলার পাশপাশি শিক্ষকদের বসার ঘর, আলমারি, কাজপত্র রাখার কাজেও ব্যবহার হয়। এমনই হাল হাসনাবাদ ব্লকের পাটলি খানপুর পঞ্চায়েতের খলিসাখালি আদিবাসী এফপি স্কুলের।
এদিন স্কুলে গিয়ে দেখা গেল চারটি ক্লাস ঘরের মধ্যে দুটির ছাদ শোচনীয়, যে কোনও মূহুর্তে ভেঙে পড়তে পারে। ঘরের দেওয়ালও বেহাল। জানলা, দরজা নেই। ঘরের মেঝে কাদায় ভরা। স্কুল সূত্রে জানা গেল, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৮০ সালে এই দুটি পাকা ঘর তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সংস্কারের অভাবে বহু বছর ধরেই ঘর দুটি ব্যবহার করা যায় না। বাকি দুটি ঘরের মধ্যে অপেক্ষাকৃত বড় ঘরটি তুলনায় নতুন। সম্প্রতি সংস্কারও হয়েছে। এই একটি ঘরেই চলে তিনটি ক্লাস। শুধু তাই নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বসার জন্যও এই ঘরই ব্যবহার করা হয়। পাঠাগার ও খাতাপত্রের আলমারি রাখা-সহ বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রেও ভরসা এটিই। আর একটি ছোট ঘরে একসঙ্গে দুটি শ্রেণির ক্লাস চলে। তবে সেটিরও সংস্কার প্রয়োজন বলে জানালেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।