E-Paper

বিজেপি নেতাকে ‘মারধর’, ধৃত তৃণমূল নেতার ছেলে

বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক শম্পা সরকারের স্বামী সৌমেন সরকারের সঙ্গে অভিজিতের বিবাদ বাধে বুধবার রাত আটটা নাগাদ, নৈহাটির নদিয়া চটকলের সামনে একটি গাছের নীচে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩ ০৬:৪৭
A Photograph representing clash between TMC and BJP

তৃণমূলের অশোক চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ, বিজেপির এক নেতাকে মারধরের অভিযোগে। প্রতীকী ছবি।

বিজেপির এক নেতাকে মারধরের অভিযোগে নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান, তৃণমূলের অশোক চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁকে বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে আট দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক শম্পা সরকারের স্বামী সৌমেন সরকারের সঙ্গে অভিজিতের বিবাদ বাধে বুধবার রাত আটটা নাগাদ, নৈহাটির নদিয়া চটকলের সামনে একটি গাছের নীচে। অভিযোগে শম্পা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী রোজ রাতে খাওয়াদাওয়ার পরে বাড়ির সামনে হাঁটাহাঁটি করেন। বুধবার রাতে সৌমেন যখন হাঁটছিলেন, সেই সময়েই অভিজিৎ তাঁকে লোহার রড ও আগ্নেয়াস্ত্রের বাট দিয়ে মারধর করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় সৌমেনকে প্রথমে নৈহাটিও পরে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর মাথায় ১১টি সেলাই পড়েছে। হাত ভেঙে গিয়েছে।

যদিও অশোকের অভিযোগ, ‘‘নদিয়া চটকলের অতিথিশালায় এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল আমার ছেলে। সেই সময়ে একটি গাছের নীচে বসে নেশা করছিলেন সৌমেন। তখনই সৌমেনের সঙ্গে ছেলের বচসা বাধে। ছেলের মোটরবাইক ভেঙে দেন ওই বিজেপি নেতা। সেই বচসার জেরেই দু’জনের মধ্যে মারামারি হয়।’’

উভয় পক্ষই নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিজিৎকে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিজিৎ অবশ্য গ্রেফতার হওয়ার পরে দাবি করেছেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে তাঁকে এই ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের ছেলে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় দলবল নিয়ে এসে হামলা চালিয়েছেন। আসলে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই ওঁরা এই সব করছেন। সৌমেনবাবুর মাথায় ১১টি সেলাই হয়েছে।আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’

নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের আবার পাল্টা অভিযোগ, ‘‘আমারছেলে অন্যায় করে থাকলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। আদালত শাস্তিদেবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। ওই হামলার ঘটনায় আমরাওতো থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছি। অথচ পুলিশ তো সেইঅভিযোগের ভিত্তিতে এখনও কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

tmc bjp clash Party clash Naihati arrest

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy