বিপজ্জনক: জোয়ারের সময়ে দেখা যায় না এ সব ভাঙা খুঁটি। নিজস্ব চিত্র।
গঙ্গাসাগরে স্নানে নেমে ভাঙা বিদ্যুতের খুঁটিতে পা কেটে রক্তাক্ত হল এক কিশোরী। বুধবার বিকেলের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লখনউ থেকে একটি পরিবার গঙ্গাসাগরে এসেছিল। বুধবার বিকেলে তাঁরা কপিলমুনি মন্দির থেকে সোজা দুই রাস্তার স্নানঘাটে নামেন। তখনই ঘটে বিপত্তি। পরিবারের বছর চোদ্দোর সদস্য পাপিয়া দিন্দালের পা কাটে। প্রাথমিক চিকিৎসা হয় তার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, সমস্যার কথা বার বার প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও পুণ্যার্থী চোট পাচ্ছেন। ভাটার সময়ে খুঁটি চোখে পড়ে। কিন্তু জোয়ারের সময়ে বোঝার উপায় নেই।
গত বছর ইয়াসে কপিলমুনি চত্বর পুরো ডুবে গিয়েছিল। সমুদ্র তটে প্রায় বিদ্যুতের খুঁটি ভাঙে। স্থানীয় লোকজন বার বার বললেও সেগুলি সরানোর উদ্যোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ।
এ বছর গঙ্গাসাগর মেলার সময়ে ভাঙা খুঁটির উপরে বালি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানালেন স্থানীয় মানুষ। তারপর একের পর পূর্ণিমার কটালে সমুদ্রতটের বালি ধুয়েমুছে যায়। ভাঙা খুঁটি ফের বেরিয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে কাকদ্বীপ মহকুমার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সহকারী বাস্তুকার অরুণ হালদার বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে বলে দিচ্ছি, দ্রুত ভাঙা খুঁটিগুলি তুলে নেওয়ার জন্য।’’ কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদেরও বিষয়টি বলে হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যা মিটে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy