প্রতীকী ছবি।
বাড়ির কাছেই পুকুরে মিলল এক যুবতীর দেহ। উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা থানার জিওলডাঙা এলাকায় শুক্রবার বিকেলে উদ্ধার হয় রাজশ্রী তালুকদার (৩২) নামে ওই যুবতীর দেহ। এলাকাবাসীর অনুমান, ভারসাম্যহীন ওই যুবতীকে ধর্ষণের পরে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে এই মর্মে রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করেই তদন্ত শুরু করেছে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজশ্রীরা চার বোন, দুই ভাই। এ দিন যে পুকুরে মৃতদেহ মিলেছে, সেখান থেকে প্রায় চারশো মিটার দূরে ১৯৯৮ সালে রাজশ্রীর এক বোনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এবং তখনও ধর্ষণ-খুনের অভিযোগই উঠেছিল। সেই ঘটনার ক’দিনের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন রাজশ্রীর বাবা। মাও মারা গিয়েছেন।
পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার, ষষ্ঠীর বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন রাজশ্রী। তাঁর দিদি সাধনা তালুকদার স্থানীয় একটি কলেজের করণিক। দিদির সঙ্গেই আবাসনে থাকতেন রাজশ্রী। বোনের খোঁজ না পেয়েছে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন সাধনা। তবে হদিস মিলছিল না। এ দিন বিকেল তিনটে নাগাদ স্থানীয়রা দেখেন, জিওলডাঙার পুকুরে একটি দেহ ভাসছে। পরে দেহ শনাক্ত করেন রাজশ্রীর পরিজনেরা। স্থানীয় বাসিন্দা, হাবরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে মঙ্গলবার রাতেই রাজশ্রীকে ধর্ষণের পরে খুন করে ওই পুকুরে ফেলা দেওয়া হয়েছিল।’’
সাধনার কলেজের আবাসন থেকে জিওলডাঙায় রাজশ্রীদের বাড়ির দূরত্ব আধ কিলোমিটার। তবে বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরে বাড়িতে এখন আর কেউ থাকেন না। দুই ভাই বাইরে থাকেন। বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে একজন গ্রামে ফিরেছেন। পুজোর মধ্যে এমন ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। আর বোনকে হারিয়ে হাহাকার করছেন সাধনা। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বললেন, ‘‘জানি না আর কত মৃত্যু দেখতে হবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy