Advertisement
E-Paper

অপরাধীরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে, অভিযোগ জানালেন জোট নেতৃত্ব

জোট-সম্পর্ক ধরে রাখতে আগ্রহ দেখাচ্ছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এ রাজ্যের সিপিএম নেতৃত্বও পিছিয়ে নেই। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে যৌথ কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৬ ০২:৪৩
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন জোটের নেতারা। বৃহস্পতিবার নির্মল বসুর তোলা ছবি।

ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন জোটের নেতারা। বৃহস্পতিবার নির্মল বসুর তোলা ছবি।

জোট-সম্পর্ক ধরে রাখতে আগ্রহ দেখাচ্ছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এ রাজ্যের সিপিএম নেতৃত্বও পিছিয়ে নেই। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে যৌথ কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই মতোই বৃহস্পতিবার বসিরহাটে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করে গেলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী-সহ জোট প্রতিনিধিরা।

দিন কয়েক আগে বসিরহাটের পানিগোবরা গ্রামে সিপিএম তৃণমূল সংঘর্ষে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকের বাড়ি-ঘর পুড়েছে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছে তাঁদের। প্রশাসনের তরফে পানিগোবরায় যে ত্রাণ শিবির হয়েছে, সেখানে অবশ্য যাননি জোটের প্রতিনিধিরা। বরং প্রতিবেশী বাদুড়িয়ার রাজবে়ড়িয়ায়, যেখানে মূলত সিপিএমের উদ্যোগে ত্রাণশিবির চলছে, সেখানেই যান তাঁরা। সাতজনের ওই দলে মান্নান-সুজন ছাড়াও ছিলেন বাদুড়িয়ার কংগ্রেস বিধায়ক কাজি আব্দুর রহমান দিলু, বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রের সিপিএম বিধায়ক সিরাজুল ইসলাম, বাগদার কংগ্রেস বিধায়ক দুলাল বর, দমদম উত্তরের বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য।

ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষজনের কথা শোনার পরে মান্নান বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হওয়া সত্ত্বেও খোলা আকাশের নীচে গাছ তলায় বাস করতে বাধ্য হচ্ছেন এখানকার মহিলারা। এটা লজ্জ্বার।’’

জোটের প্রতিনিধিরা আসছেন জানতে পেরে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) গৌরভ লালের নেতৃত্বে এলাকায় বিশাল বাহিনী মোতায়েন ছিল। প্রতিনিধি দলকে দেখে দুর্গতরা তাদের অভাব অভিযোগের কথা বলেন। অন্তঃসত্ত্বা হালেখা বিবি এবং পায়রা বিবি জানান, দুষ্কৃতীরা তাঁদের পেটে লাথি মেরেছিল। মাধ্যমিকের ছাত্রী এসমাতারা খাতুন, জেসমিনা খাতুনেরা বর্তমানে এক রকম গাছের তলায় দিন কাটাচ্ছে। তারা বইপত্র দিয়ে সাহায্যের আবেদন করে। পেশায় চিকিৎসক জাহাঙ্গির কবীর বলেন, ‘‘ঘটনার দিন পাশের গ্রামে এক অসুস্থকে দেখে ফিরছিলাম। দেখি বাড়ি এবং দড়ির গোডাউন জ্বলছে। জল ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করার সময়ে পুলিশ আমাকেই গ্রেফতার করে।’’ তাঁর অভিযোগ, জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরে গ্রামে ফিরে দেখেন, প্রকৃত দোষীরা পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমেনা খাতুন তাঁর সাত বছরের ছেলের বোমায় পুড়ে যাওয়া হাত দেখান মান্নানদের।

ঘটনাস্থল থেকেই টেলিফোনে এসডিপিও শ্যামল সামন্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মান্নান। দুর্গতদের নিরাপত্তা এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে গ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনার আবেদন করেন।

TMC CPM police accused
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy