রাস্তার পাশে পড়ে আবর্জনার স্তূপ। ফেলার কোনও জায়গা নেই। দুর্গন্ধে টেকা দায় বাসিন্দাদের।
জঞ্জাল নিয়ে বড় ঝঞ্ঝাটে পড়েছেন এখন নৈহাটির চেয়ারম্যান। বাম আমলে বিরোধী দলের নেতা হিসাবে নৈহাটিতে গঙ্গার ধারে জঞ্জাল ফেলা নিয়ে তিনি কম সোচ্চার হননি। প্রতিবাদ মিছিল, পথসভা, গঙ্গার ধারে জঞ্জালের পাহাড় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নজরে আনা কি না করেছেন।
কিন্তু নিজের এলাকার পুরপ্রধান হওয়ার পর এই দুয়ের গুঁতোয় নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা তাঁর। সম্প্রতি পুর এলাকার জঞ্জাল কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ফেলতে গেলে এলাকার বাসিন্দারা জঞ্জালের গাড়ি আটকে রেখে পুরসভার কর্তাদের হাজিরা তলব করেছিল।
অশোকবাবুর কথায়, ‘‘বিরোধীরা কেউ কিছু বলছেন না। কিন্তু নিজেরই কেমন অসহায় লাগছে। এই শহরে অনেকদিনের বাস। শহরের জঞ্জাল রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে অন্য জায়গায় ফেলতে হয়। লোকে বাধা দেন। গালমন্দ করেন।’’
২০১৩ সালে নৈহাটিতে এক্সপ্রেসওয়ের কাছে ‘ওয়েস্ট প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট’ এর জন্য জমি কেনা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আধুনিক প্রযুক্তির মেশিন বসিয়ে জঞ্জাল থেকে সার তৈরি করার যে সরকারি প্রকল্প তার অনুমোদন মিললেও প্রারম্ভিক কিছু কাজ এখনও বাকি বলেই জানিয়েছেন অশোকবাবু। তবে এলাকা থেকে জঞ্জাল সরানোর জন্য দু’টি ভ্রাম্যমাণ মেশিন এবং মণ্ড বানিয়ে ফেলার কম্প্যাক্টর আছে পুরসভার। তা দিয়ে ১৮.৬ বর্গ কিলোমিটারের নৈহাটি পুর এলাকার জঞ্জালের সঙ্গে প্রত্যেকদিন মোকাবিলা করা কার্যত অসম্ভব। তার সব থেকে বড় কারণ একটা ছোট এলাকার মধ্যেই অসংখ্য বাজার। বহিরাগত লোকের সমাগমও অনেক বেশি।
এর মধ্যে পুরসভার উদ্যোগে গৌরীপুর চটকলের বাইরে নাইট সয়েলের একটি ট্যাঙ্ক করা হয়েছে। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘জঞ্জাল ও নাইট সয়েল মিলিয়ে বেশ বড় অঙ্কের টাকা রোজগার করতে পারি আমরা যদি এ থেকে সার বানানো যায়। বাজারে চাহিদাও আছে। আমরা সেই বাজারও পেয়েছি।’’ এখন শুধু অপেক্ষা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy