Advertisement
E-Paper

Coronavirus in west Bengal: একশো শতাংশ টিকার লক্ষ্যে জোর সাগরে

২০২১ সালে আদালতের নির্দেশে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন হয়েছিল। খুব কম সংখ্যক পুণ্যার্থী এসেছিলেন।

সমরেশ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:০১
দুয়ারে-ভ্যাকসিন: ক্যানিংয়ে চলছে কর্মসূচি।

দুয়ারে-ভ্যাকসিন: ক্যানিংয়ে চলছে কর্মসূচি। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।

গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। জোর দেওয়া হচ্ছে কোভিড টিকাকরণে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, মেলার সঙ্গে যুক্ত সকলকে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ় দিতে হবে। সাগরদ্বীপের সমস্ত বাসিন্দাকে একশো শতাংশ ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আগেই নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। যদিও প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এখনও দ্বিতীয় ডোজ় বাকি কয়েক হাজার মানুষের। প্রথম ডোজ়ও পাননি কিছু মানুষ।

প্রথম দিকে সাগর ব্লকের গ্রামীণ হাসপাতাল ও ব্লক থেকে টিকা দেওয়া হলেও জোগান অনুযায়ী এখন ৮টি পঞ্চায়েত ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকেও টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকাকরণের ক্ষেত্রে ওই এলাকায় সাগর মেলার সঙ্গে যুক্ত গাড়ির চালক, আশাকর্মী, দোকানদার, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগর ব্লকের ৮টি পঞ্চায়েতে জনসংখ্যা ৩ লক্ষের বেশি। এঁদের মধ্যে ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৩ হাজার। মেলা-লাগোয়া গঙ্গাসাগর, মুড়িগঙ্গা ১, ধবললাট, রুদ্রনগর পঞ্চায়েত ও কাকদ্বীপের লট ৮ ঘাট দিয়ে মুড়িগঙ্গা নদী পারাপার করেন পুণ্যার্থীরা। শুরুর দিকে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, ওই ঘাট-লাগোয়া রামকৃষ্ণ পঞ্চায়েত এলাকার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সমস্ত বাসিন্দার টিকাকরণ হবে। পরে সিদ্ধান্ত হয়, সাগর ব্লকের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক বাসিন্দার টিকাকরণ করা হবে। সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রশাসন এগিয়েছিল।

কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। এ দিকে, মেলা শুতে হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন বাকি।

২০২১ সালে আদালতের নির্দেশে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন হয়েছিল। খুব কম সংখ্যক পুণ্যার্থী এসেছিলেন। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০২২ গঙ্গাসাগর মেলায় তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা গত বছরের থেকে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মেলার সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের মেলা শুরুর আগে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ় শেষ করতে হবে।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘সাগর ব্লক এলাকায় এখনও পর্যন্ত ৯৬.৭১ শতাংশ প্রথম ডোজ় ভ্যাকসিন হয়ে গিয়েছে। ৮৯.৬০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গিয়েছে। প্রথম ডোজ় ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে কিছু পরিযায়ী শ্রমিক, যাঁরা অন্যত্র কাজে গিয়েছেন, তাঁদের দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, তাঁদের অধিকাংশই অন্যত্র ভ্যাকসিন নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ় ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy