E-Paper

বাণিজ্য দ্রুত স্বাভাবিক হওয়ার আশা

এ দিন পেট্রাপোল থেকে বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে হাতেগোনা কয়েকটি পচনশীল পণ্য ভর্তি ট্রাক গিয়েছে। সাধারণ পণ্যের রফতানি বন্ধ ছিল। পাশাপাশি, পণ্য আমদানির কাজ বন্ধ ছিল।

সীমান্ত মৈত্র  

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫৯
শুনশান পেট্রাপোল সীমান্ত।

শুনশান পেট্রাপোল সীমান্ত। —নিজস্ব চিত্র।

বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রবিবার রায়ের পরে দ্রুত সীমান্ত-বাণিজ্য স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত নানা মহলের। তবে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য রফতানি-আমদানির কাজ রবিবারও কার্যত বন্ধ ছিল।

এ দিন পেট্রাপোল থেকে বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে হাতেগোনা কয়েকটি পচনশীল পণ্য ভর্তি ট্রাক গিয়েছে। সাধারণ পণ্যের রফতানি বন্ধ ছিল। পাশাপাশি, পণ্য আমদানির কাজ বন্ধ ছিল। শনিবার সকাল ১০টার পর থেকে পণ্য রফতানি কার্যত বন্ধ। কেবলমাত্র পচনশীল পণ্যের কিছু ট্রাক বেনাপোলে ঢুকছে। ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার পেট্রাপোলের ম্যানেজার কমলেশ সাইনি বলেন, ‘‘পেট্রাপোল বন্দর খোলা আছে। রবিবার পচনশীল পণ্যভর্তি ট্রাক বাংলাদেশে গিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক এ দিন পেট্রাপোল থেকে বেনাপোলে ফিরে যেতে শুরু করেছে।’’

স্বাভাবিক বাণিজ্যের কাজ ব্যাহত হওয়ায় পেট্রাপোল বন্দরে যে সমস্ত শ্রমিক ট্রাকে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজে যুক্ত, তাঁদের আয় ধাক্কা খাচ্ছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি না হলে আর্থিক সঙ্কটে পড়তে হতে পারে বলে শ্রমিকদের আশঙ্কা।

তবে রবিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট সে দেশের সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কার করতে বলায় পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হওয়ার আশা করছেন এ দেশের আমদানি-রফতানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মহল। আদালের রায়ের কথা জানতে পেরে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আশা করছি, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে ও দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। বাণিজ্যের কাজ স্বাভাবিক হবে। এরপরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বুঝতে হবে, অন্য কোনও কারণ আছে।’’ কার্তিক জানান, শনি এবং রবিবার বাণিজ্যে প্রভাব পড়ায় প্রায় ৩০০ কোটি বৈদেশিক মুদ্রা আয় কম হয়েছে। ক্লিয়ারিং এজেন্ট সংগঠন সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দেশ থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোলে গিয়ে প্রায় ২৭১টি ট্রাক আটকে পড়েছে। কার্তিক বলেন, ‘‘বেনাপোলের গুদামে জায়গা না থাকায় এবং গুদাম থেকে ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় পণ্য যেতে না পারায় ভারতীয় ট্রাকের পণ্য খালি করা যাচ্ছে না। ওই সব ট্রাকে থাকা ভারতীয় চালক ও খালাসিদের এ দেশে খেতে আসার অনুমতি দিয়েছে বিএসএফ। পণ্য দ্রুত খালি করতে ও দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’’

এ দিন পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে সামান্য কয়েক জনকে যাতায়াত করেন। চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিরা এসেছেন। আবার চিকিৎসা করিয়ে ফিরেছেন। তাঁদেরই এক জন, ঢাকার বাসিন্দা বেলি হোসেন বেঙ্গারুলুতে চিকিৎসা করিয়ে ফিরছিলেন। বললেন, ‘‘বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ঠিকঠাক যোগাযোগ করতে পারছি না। উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bangladesh Protest Bangladesh India-Bangladesh Export

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy