Advertisement
০৫ মে ২০২৪
নিকাশি জবরদখল, জলমগ্ন চাষের জমি
Agitation

agitation: ব্লক অফিস ঘেরাও করলেন কৃষকেরা

এলাকার অধিকাংশ চাষের জমি জলের তলায়। মেছোভেড়ি, পুকুরের মাছ জলে ভেসে গিয়েছে। অনেক বাড়িও জলমগ্ন।

দাবি: বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাষিরা।

দাবি: বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাষিরা। ছবি: সামসুল হুদা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভাঙড়  শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৩৪
Share: Save:

বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার-সহ চাষের ক্ষতিপূরণের দাবিতে বৃহস্পতিবার ভাঙড় ২ ব্লক অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন প্রায় এক হাজার চাষি। বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে চাষের জমি-সহ ভাঙড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। বৃষ্টি থামলেও জল নামার লক্ষণ নেই। অভিযোগ, বেহাল নিকাশির জন্যই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। জমির ফসল প্রায় শেষ। এর জেরেই এ দিন বেলা বারোটা থেকে প্রায় দুপুর দু’টো পর্যন্ত প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে ব্লক অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান কাঁঠালিয়া, ভুমরু, চিলেতলা, পানাপুকুর, গানিরাইট-সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের চাষিরা। দফতরে ঢোকার মুখে বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায়ের গাড়ি ঘেরাও করেও বিক্ষোভ চলে। বিডিও গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরে অভিযোগ জানান চাষিরা।

গত কয়েকদিন ধরে ভাঙড় ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও আবার কোমর সমান জল জমে রয়েছে। চাষিদের অভিযোগ, একাধিক রাস্তার পাশে চাষের জমির নিকাশি নালা আটকে গড়ে উঠেছে বেআইনি নির্মাণ। এছাড়া জল নিকাশি কালভার্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির জমা জল বেরোতে না পারায় চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এর জেরেই এ দিন বিক্ষোভ দেখান চাষিরা। পরে তাঁরা বিডিওকে স্মারকলিপিও জমা দেন। বিক্ষোভকারী আনোয়ার আলি বলেন, “পরপর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে চাষের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এলাকার কিছু মানুষের জন্য নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে বৃষ্টিতে গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। অবিলম্বে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।”

ব্লক প্রশাসন ও ব্লক কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় প্রায় ৪,৪৫০ হেক্টর জমির ধান ও আনাজ চাষের ক্ষতি হয়েছে। ৬৬০ হেক্টর জমির মাছের ভেড়ি ও পুকুরের মাছ ক্ষতি হয়েছে। বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় বলেন, “এলাকার সমস্যা নিয়ে চাষিরা একটা স্মারকলিপি দিয়েছেন। ওঁদের সমস্যাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েছি।” ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষির কর্মাধ্যক্ষ আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, “এবার বৃষ্টিতে গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় চাষের ক্ষতি হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দিয়েছি। চাষিরা যাতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পান, তার ব্যবস্থা করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Agitation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE