রাস্তা থেকে এক নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘটনা। এর জেরে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা। যে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা হয়, সেখানে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেন এলাকার মানুষ। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়ির কাছেই দোকানে গিয়েছিল বছর চোদ্দোর নাবালিকা। অভিযোগ, সেই সময়ে পাশের গ্রামের দুই যুবক তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। সে চেঁচামেচি করলেও কাছেই একটি অনুষ্ঠানের মাইকের শব্দে তার আওয়াজ শোনা যায়নি। অভিযোগ, তাকে এলাকারই একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাড়িটি তালাবন্ধ। কেউ থাকেন না।
এ দিকে, মেয়ে না ফেরায় খুঁজতে খুঁজতে ওই বাড়ির সামনে আসেন তার মা ও এক আত্মীয়। দরজা খোলা দেখে তাঁরা ভিতরে ঢোকেন। তাঁদের দেখেই দুই যুবক পালিয়ে যায় বলে দাবি। মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তাঁরা। নাবালিকার মা জানান, প্রাথমিক ভাবে লজ্জায় কাউকে কিছু জানাননি তিনি।
এ দিন এলাকার লোকজন ওই বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালান। আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। নাবালিকার মা বলেন, “ওরা খারাপ উদ্দেশ্যেই মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। সময়ে গিয়ে পড়েছিলাম, না হলে মেয়েকে ফিরে পেতাম কিনা, জানি না।” অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় মানুষ। বন্ধ বাড়ির চাবি তারা কী ভাবে পেল, সেই প্রশ্নও ওঠে। বাড়ির মালিকের সঙ্গে তাদের যোগসাজশ আছে কিনা, দেখার আবেদন জানানো হয় পুলিশকে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)