এলাকার প্রায় কোনও বড় পুজোই অংশ নেয়নি। ফলে শনিবার বারুইপুরে পুজোর কার্নিভাল দেখতে এসে হতাশ হয়েই ফিরলেন বহু দর্শক। কার্নিভালকে কেন্দ্র করে অব্যবস্থার অভিযোগও ওঠে। অনেকেরই দাবি, কোনও মতে কার্নিভাল উতরে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
আজ, রবিবার রেড রোডের কার্নিভালের আগে শনিবার জেলায় জেলায় পুজো কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছিল। এ দিন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছিল বারুইপুরে। ছিলেন জেলা ও মহকুমার সরকারি আধিকারিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সোনারপুর ও বারুইপুরের ১০টি পুজো তাতে অংশ নিলেও অনুপস্থিত থাকে এলাকার বহু নামী পুজো।
গত বার বারুইপুরে কার্নিভাল হয়েছিল সংশোধনাগার লাগোয়া এলাকায়। এ বার কাছারিবাজার সংলগ্ন উড়ালপুলে তা সরিয়ে আনা হয়। সে জন্য উড়ালপুলের একাংশে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তবে কার্নিভাল দেখতে ভিড় হলেও বড় পুজোর দেখা না পেয়ে হতাশ অনেকেই। সাধারণের জন্য কার্নিভাল দেখার সুব্যবস্থা নেই বলেও অভিযোগ ওঠে। মঞ্চের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের জায়গা থেকে দর্শকাসন দূরে হওয়ায় কিছুই দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ। বিশৃঙ্খলার জেরে অনেকে মঞ্চের সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন। কার্নিভালে আসা এক বধূর কথায়, “বাড়ির কাছে কার্নিভাল হচ্ছে শুনে এসেছিলাম। কিন্তু বসার জায়গা থেকে কিছুই দেখা যায়নি। কোনও বড় পুজোও আসেনি। এ ভাবে কার্নিভাল করার কী দরকার!”
কেন অনুপস্থিত বড় পুজোগুলি? বারুইপুরের অন্যতম বড় পুজো প্রগতি সঙ্ঘের সঙ্গে জড়িত, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা জয়ন্ত ভদ্র এ দিন কার্নিভালের অতিথি হিসাবে মঞ্চে থাকলেও ছিল না তাঁর পুজো। তিনি বলেন, “শনিবার বলে আজ প্রতিমা বার করিনি।” কার্নিভালের জায়গার কাছেই পদ্মপুকুর ইয়ুথ ক্লাবের পুজো। সেই পুজোর কর্ণধার, বারুইপুরের উপ-পুরপ্রধান গৌতম দাসও ছিলেন কার্নিভালে। তিনিও শনিবারকেই কারণ হিসাবে দেখাচ্ছেন। আরও জানান, রেড রোডের কার্নিভালে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। বারুইপুরের একটি বড় পুজোর কর্মকর্তা অবশ্য বলেন, “এই কার্নিভালের কোনও জৌলুস নেই। তাই অংশ নিইনি।” বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যারা এসেছে, তাদের নিয়েই সুন্দর অনুষ্ঠান হয়েছে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)