আমিনা খাতুন হালদার।
একাধিক সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসেও বিফল মনোরথ হয়েছেন আমিনা খাতুন হালদার। দরিদ্র পরিবারের স্নাতক বধূ এখন গ্রামে জরির কাজ করে সংসারে সাহায্য করেন।
বাসন্তীর ভাঙনখালি গ্রামের বাসিন্দা আমিনা অনেক লড়াই করে ২০১৭ সালে বিএ পাশ করেন। সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে থাকেন তারপর থেকে। ২০১৯ সালে বিয়ের পরেও চাকরির চেষ্টা চলতে থাকে।
কিন্তু চাকরি পাননি। এখন পাওয়ার আশাও ছেড়ে দিয়েছেন।
স্বামী আলতাফ হালদার সোনারপুরে একটি রেস্তরাঁয় কাজ করেন। সেই উপার্জনে সংসার চালানো কঠিন। ইদানীং জরির কাজ শুরু করে সামান্য আয় করছেন আমিনা। তাতে কিছুটা সুরাহা হয়েছে।
আমিনা বলেন, “ছোট থেকেই অভাবের মধ্যে বড় হয়েছি। অনেক কষ্ট করে বাবা-মা পড়াশোনা করিয়েছেন। ভেবেছিলাম, চাকরি-বাকরি করব, বাবা-মায়ের অবলম্বন হব। কিন্তু তা আর হল না।”
আমিনা বলেন, “অনেক চেষ্টা করেও চাকরি পাইনি। এখন আর চেষ্টা করি না। জরির কাজ করে মাসে হাজার চারেক টাকা আয় হয়। আপাতত তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে চাই।”
—নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy