Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Arabul islam

কর্মিসভায় দলীয় নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ আরাবুলের

তৃণমূলেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯টি পঞ্চায়েতের প্রধানই আরাবুল ঘনিষ্ঠ হওয়ায় দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।

আরাবুল ইসলাম।

আরাবুল ইসলাম। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভাঙড়  শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:০৯
Share: Save:

কর্মিসভায় এসে এলাকার এক দলীয় নেতার বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দিলেন ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, তৃণমূলের আরাবুল ইসলাম। রবিবার ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ওই কর্মিসভায় হুঁশিয়ারিও দিতে শোনা যায় আরাবুলকে। তাঁর পাশে ছিলেন ভাঙড়ের দলীয় পর্যবেক্ষক সওকাত মোল্লা।

আরাবুল বলেন, ‘‘দলীয় কর্মসূচিতে কর্মী-সমর্থকদের আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ভাল না লাগলে দল করতে হবে না। অন্য কাউকে দলীয় কর্মসূচিতে আসতে বাধা দেওয়া যাবে না।’’ আরাবুলের নিশানায় ছিলেন শানপুকুর অঞ্চল কমিটির দলীয় সদস্য সরিফুল আলম। তাঁর নাম করে আরাবুল বলেন, ‘‘আমাদের কোনও মিটিং হলে তুমি সদস্যদের আসতে নিষেধ করছ কেন? দল তোমাকে এই নির্দেশ দেয়নি। তোমার ভাল না লাগলে দল করবে না। তবে অন্যকে দলবিরোধী কাজে উৎসাহিত করবে না।’’ আরাবুলের আরও অভিযোগ, ‘‘দলের ক্ষতি করার জন্য নেতাদের একাংশ আইএসএফকে সাহায্য করছে। এমনকি, তাঁরা আমাদের সব গতিবিধি আইএসএফকে বলে দিয়ে ক্ষতি করছে।’’

আরাবুলের এই ক্ষোভ প্রকাশ ও হুঁশিয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। শানপুকুর অঞ্চলের তৃণমূল নেতা সরিফুল বলেন, ‘‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আরাবুলদার সঙ্গে বসে কথা বলে মিটিয়ে নেব।’’ এ নিয়ে সওকাত বলেন, ‘‘এটা দলের অভ্যন্তরীণ কর্মী-বৈঠক। আরাবুল অভিভাবক হিসেবে দলীয় কর্মীকে সতর্ক করতেই পারেন। এতে কোনও অন্যায় নেই। দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।’’

পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাঙড় ২ ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতের অধিকাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল। একমাত্র পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েত ছাড়া ৯টি পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন আরাবুল ঘনিষ্ঠরাই। পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েত দখল করেছে জমি কমিটি।

তৃণমূলেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯টি পঞ্চায়েতের প্রধানই আরাবুল ঘনিষ্ঠ হওয়ায় দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। আরাবুলের ডাকা কোনও মিটিং, মিছিলে তাই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের যেতে নিষেধ করছেন ওই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতারা। শানপুকুর অঞ্চলের প্রধান হয়েছেন আরাবুল ঘনিষ্ঠ মহম্মদ মিরাজ। মিরাজের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতাবলে পরিচিত সরিফুল। শুধু সরিফুল নন, রবিবার আরও কয়েক জন দলীয় নেতার বিরুদ্ধেও অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন আরাবুল।

আইএসএফের ভাঙড় ২ ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য রাইনুর হক বলেন, ‘‘ওরা টাকা দিয়ে পদ কিনেছে। সেই কারণে ওরা একে অপরকে সম্মান দিতে পারছে না। তাই নিয়ে ওদের মধ্যে যত গন্ডগোল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bhangar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE