Advertisement
০৫ মে ২০২৪

সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের হামলা, আক্রান্ত সস্ত্রীক শিক্ষক

বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক শিক্ষকের বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালাল চার দুষ্কৃতী। তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর উপরে হামলা হয়।

সোহম দাস। নিজস্ব চিত্র।

সোহম দাস। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৬ ০৩:০৬
Share: Save:

বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক শিক্ষকের বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালাল চার দুষ্কৃতী। তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর উপরে হামলা হয়।

রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপ থানার গণেশপুর প্রথমঘেরি এলাকায়। জখম শিক্ষক সোহম দাস কাকদ্বীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাতে জখম নিয়ে কাকদ্বীপের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন তাঁর স্ত্রী অর্পিতাও। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে হামলার কারণ নিয়ে এখনও তারা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির ব্যান্ডেলের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে রোবোটিক্স পড়ান সোহমবাবু। সপ্তাহখানেক হল চাকরি পেয়েছেন। রবিবার রাতে শেষ ট্রেনে বাড়ি ফেরেন। খাওয়াদাওয়া সেরে শুয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে উঠে দরজা খুলে বাইরে বাথরুমে যান। তখনই দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। তা টের পাননি সোহম। অভিযোগ, ওই বাড়িতেই ঝুলিয়ে রাখা একটি পুরনো টাঙ্গি দিয়ে সোহমবাবুর মাথায় আচমকাই এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকে দুষ্কৃতীরা। ঘুম ভেঙে যায় অর্পিতাদেবীরও। তিনি ঠেকাতে গেলে দুষ্কৃতীদের চালানো একটি কাস্তের কোপ লেগে তাঁর হাত কেটে যায়। পাশের ঘর থেকে সোহমবাবুর মা পার্বতীদেবী ছুটে এলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে পালায় আক্রমণকারীরা।

সোহমবাবুর মামা তথা কাকদ্বীপ আদালতের আইনজীবী মনোজ পাণ্ডা বলেন, ‘‘কারও সঙ্গে আমার ভাগ্নের কোনও শত্রুতা ছিল না। কোনও টাকা-পয়সাও দাবি করেনি দুষ্কৃতীরা। ওকে মারবে বলেই এসেছিল। কিন্তু কেন, তা বুঝতে পারছি না।’’ রাতেই সোহমবাবুকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, মাথায় সেলাই পড়েছে।

সোমবার কাকদ্বীপ থানায় পার্বতীদেবীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চন্দ্রশেখর বর্ধন বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তও শুরু হয়েছে। কী কারণে হামলা, কারা এর পিছনে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। বাড়ি থেকে কোনও মূল্যবান জিনিস খোওয়া যায়নি। পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, দরজা খোলা পেয়ে চুপচাপ ঢুকে পাশের ঘরে লুকিয়ে ছিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পিছনে অন্য কারও কোনও ভূমিকা রয়েছে কিনা, তা জানতে পরিবারের আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

teacher wife miscreant
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE