আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দারকে। —নিজস্ব চিত্র।
চেহারায় দুশ্চিন্তার ছাপ নেই। বরং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পুলিশ ভ্যানে উঠলেন সোনারপুরকাণ্ডে ধৃত জামালউদ্দিন সর্দার। শনিবার দুপুর পৌনে ১২টা নাগাদ তাঁকে সোনারপুর থানা থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়। তোলা হয় প্রিজ়ন ভ্যানে। গন্তব্য বারুইপুর মহকুমা আদালত। পুলিশি ঘেরাটোপে থানা থেকে বেরিয়ে জামালের দাবি, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। জমি জবরদখল থেকে সালিশি সভা ডেকে হেনস্থা, তোলাবাজি, এমনকি খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে শাসকদল-ঘনিষ্ঠ জামালের বিরুদ্ধে। যদিও প্রৌঢ়ের দাবি, সে সবই বানানো, মিথ্যা। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েক জন গ্রামবাসী মুখ খুলেছেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দু’জন। এ নিয়ে হুঁশিয়ারির সুরে জামাল বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে যারা ইন্টারভিউ দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করছি।’’
জমি বেদখল, জোর করে জমি নেওয়ার মতো অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, সেই জামালের পাল্টা দাবি, ‘‘ওরা সকলেই সরকারি জমি দখল করে বসে আছে।’’ কিন্তু তাঁরা কারা? জামাল বলেন, ‘‘সমীর নস্কর নামে এক ব্যক্তি চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছে।’’ আর সালিশি সভা বসানোর অভিযোগ?” জামালের ঘুরিয়ে জবাব, ‘‘আমায় ফাঁসানো হয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোনারপুরের বিজেপি নেতা সমীরের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন জামাল। বিজেপি নেতা পাল্টা অভিযোগ করেছেন, জামালের জন্য এলাকার এক মহিলা ২০০২ সালে আত্মহত্যা করেন। ২০০৬ সালে নিজের দাদাকে কুপিয়ে খুন করেছেন জামাল। এমনকি, তাঁর ছেলেকে অপহরণেও জামাল অভিযুক্ত বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ‘‘এই সব ঘটনার প্রতিবাদ করেছি। তাই আমার বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’
তিন দিন তল্লাশির পর শুক্রবার সন্ধ্যায় বাসন্তী হাইওয়ে থেকে সোনারপুর যাওয়ার রাস্তা থেকে গ্রেফতার করা হয় জামালকে। মুখে মাস্ক পরে পুলিশের চোখে ধুলো দিতে চেয়েছিলেন। ফোন এবং সিম পাল্টে ফেলেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তাঁকে গ্রেফতার করে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে পুলিশ সূত্রে খবর। সোনারপুর থানার পুলিশ জামালকে আগামী ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে চেয়ে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করিয়েছে। জামালের দুই সঙ্গীকেও হাজির করানো হচ্ছে আদালতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy