সামলে চলো...। ছবি: দিলীপ নস্কর।
ছিল পিচের রাস্তা। সংস্কারের অভাবে উঠে গিয়ে মাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির জল পড়ে যা ডোবার আকার নিয়েছে।
রায়দিঘির মথুরাপুর ২ ব্লকের কাশীনগর মোড় থেকে পুরন্দরপুর হাসপাতাল পর্যন্ত ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে মানুষকে হিমসিম খেতে হয়। খানাখন্দ ওই পথে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। বিডিও মোনালিসা তিরকে বলেন, ‘‘ওই হাসপাতালে যাতায়াতের রাস্তা সংস্কারের জন্য খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
কাশীনগর পঞ্চায়েতের ওই রাস্তাটি চলে গিয়েছে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত। প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তাটি ২০০৮ সালে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ থেকে পিচের করা হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তারপর থেকে রাস্তার কোনও সংস্কার করা হয়নি। ওই রাস্তা দিয়ে পুরন্দরপুর হাসপাতালে যাতায়াত করেন কাশীনগর, কৌতলা, গিলেরছাট, দিঘিরপাড়ের বাসিন্দারা। পড়ুয়ারাও ওই রাস্তা পেরিয়েই পুরন্দরপুর হাইস্কুলে যায়। ওই রাস্তা দিয়ে রোগী নিয়ে যাওয়ার সময় মানুষকে নাজেহাল হতে হয়। প্রসূতি নিয়ে যেতে হলে গলদঘর্ম অবস্থা হয়। কারণ, রাস্তা খারাপ হওয়ায় কোনও গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে না।
চালকদের বক্তব্য, ‘‘ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে বহুবার যন্ত্রাংশ খারাপ হয়েছে। সে কারণে ওই রাস্তায় আর গাড়ি চালাই না।’’ পড়ুয়ারা জানায়, জল কাদা ভরা রাস্তা দিয়েই প্রত্যেক দিন স্কুলে যেতে হয়। ব্যাগে অতিরিক্ত পোশাক নিয়ে যায় তারা। কারণ অর্ধেক দিন স্কুলে যাওয়ার সময়ে জামাকাপড় ভিজে যায়।
এ বিষয়ে কাশীনগর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মীরা বর ও কৌতলা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহিউদ্দিন বৈদ্যরা বলেন, ‘‘রাস্তাটি সারানোর জন্য একাধিকবার ব্লক প্রশাসন এবং সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদকে বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy