উচ্ছ্বাস: স্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। —নিজস্ব চিত্র।
ইঙ্গিতটা ছিল শুরু থেকেই। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর দেখা গেল তেমনটাই ঘটেছে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে উত্তর ২৪ পরগনায় তিনটি স্তরেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেশ কিছু আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। জেলার ৫৭টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে দু’টিতে কোনও লড়াই হচ্ছে না। কারণ, সেখানে বিরোধী প্রার্থী নেই।
২২টি পঞ্চায়েত সমিতির ৫৮৯টি আসনের মধ্যে ১০৫টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এর মধ্যে ৬টি পঞ্চায়েত সমিতি ইতিমধ্যেই দখল করেছে ঘাসফুল শিবির।
২০০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫টিও বিনা লড়াইয়ে এসেছে তৃণমূলের ঝুলিতে। মোট ৩৫৬০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ৬৯৪টিতেই জয়ী তারা।
সন্দেশখালি ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে বিরোধী দলগুলির কোনও মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি। আরও পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই জিতে নিয়েছে তৃণমূল। জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য বলছে, তৃণমূলে দখলে যাওয়া পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতি হল, বারাসত ২, হাড়োয়া, হাসনাবাদ, মিনাখাঁ এবং সন্দেশখালি ২।
বিনা যুদ্ধে • জেলা পরিষদ আসন: ৫৭/ ২ • পঞ্চায়েত সমিতি: ২২/ ৬ • পঞ্চায়েত সমিতি আসন: ৫৮৯/ ১০৫ • গ্রাম পঞ্চায়েত: ২০০/ ৫ • গ্রাম পঞ্চায়েত আসন: ৩৫৬০ / ৬০৪
অঙ্কের নিরিখে এখনই জয়ী বলা না গেলেও বসিরহাট ১ এবং ২ পঞ্চায়েত সমিতিও প্রায় হাতের মুঠোয় পুরে ফেলেছে শাসক দল। বিরোধীদের সেখানে দাঁত ফোটাতে গেলে প্রথমত, যে ক’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে, তার সব ক’টিই তাদের জিততে হবে। তারপরেও তৃণমূলকে রুখতে গেলে বোর্ড গঠনের সময়ে বিরোধীদের এক জোট হতে হবে।
এরপরেও প্রশ্ন রয়েছে। বিরোধীদের আশঙ্কা, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পরেও এই অঙ্কে ওলটপালট হতে পারে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুলিশের ঘেরাটোপে তৃণমূলের সন্ত্রাস গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি হাজারিলাল সরকারের কথায়, ‘‘তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তো আমাদের ৫-৬টি ব্লকে প্রার্থীই দিতে দিল না। সর্বত্র প্রার্থী দিতে পারলে ফল কিন্তু অন্য রকম হত।’’
যদিও সন্ত্রাস, হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পায়নি। মিথ্যা অভিযোগ তুলে সেই ব্যর্থতার দায় এখন আমাদের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy