Advertisement
E-Paper

আন্তর্জাতিক বাইক পাচার চক্রের আরও ২ সদস্য ধৃত

পুলিশ জানিয়েছে,  দিন কয়েক আগে মছলন্দপুর এলাকা থেকে আন্তর্জাতিক বাইক পাচার চক্রের পান্ডা মোক্তার মণ্ডল-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা  হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ০৭:২০
উদ্ধার হওয়া বাইক। ছবি: সুজিত দুয়ারি

উদ্ধার হওয়া বাইক। ছবি: সুজিত দুয়ারি

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে চলা বাইক পাচার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করল গোবরডাঙা থানার পুলিশ। সোমবার রাতে তাদের বাড়ি থেকে ধরা হয়েছে। ধৃতদের নাম সনাতন সরকার ওরফে সোনা এবং দীপঙ্কর পাল ওরফে রাজা। তাদের বাড়ি স্থানীয় বেড়গুম ও সরকারপাড়া এলাকায়। ধৃতদের বাড়ি থেকে পুলিশ ৫টি নম্বরহীন চোরাই বাইক উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার তাদের বারাসত জেলা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে মছলন্দপুর এলাকা থেকে আন্তর্জাতিক বাইক পাচার চক্রের পান্ডা মোক্তার মণ্ডল-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। মোক্তারের বাড়ি বাদুরিয়ায়। তার কাছ থেকে পুলিশ দু’টি নম্বরহীন বাইক উদ্ধার করেছিল। পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে। মোক্তারকে জেরা করে সনাতন ও দীপঙ্করের সন্ধান মেলে।

সনাতনের পরিচিতি ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসাবে। দীপঙ্কর সুদের কারবার করে। কিন্তু বাইক পাচারের কাজেও তারা জড়িত বলে অভিযোগ।

মোক্তার ও তার দলের সদস্যেরা বসিহাট ও বারাসত মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু বাইক চুরি করেছে বলে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে। আরওএ জানা গিয়েছে, মোক্তার ও তার সাগরেদরা রাস্তায় থাকা নম্বরহীন বাইকের উপরে নজর রাখ। আবার নম্বরযুক্ত বাইক চুরি করে প্রথমেই নম্বর তুলে দিত। ওই সব বাইক তারা স্বরূপনগরের হাকিমপুর সীমান্ত দিয়ে পাচার করত। বাংলাদেশ থেকে পাচারকারীরা এসে বাইক নিয়ে যেত। একটি বাইক বিক্রি করে ৬০-৭০ হাজার টাকা পেত ওই দুষ্কৃতীরা।

লকডাউনের জন্য সীমান্তে বিএসএফ ও পুলিশের কড়াকড়ি থাকায় বাইক চুরি করলেও চক্রটি তা বাংলাদেশে পাচার করতে পারেনি। সনাতন দীপঙ্করের বাড়ি গোপনে বাইক রাখা ছিল। এই দু’জনের কাজ ছিল বাইক গুলি সুযোগ বুঝে সীমান্ত পার করে দেওয়া। একটি বাইক সীমান্ত পার করিয়ে দিতে পারলে একজন পেত ১০ হাজার টাকা করে। মোক্তারকে পুলিশ ফের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সোমবার। পুলিশ জানিয়েছে, চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। মোক্তারকে জেরা করে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

কখনও নৌকোয় তুলে, কখনও বাইকের যন্ত্রাংশ খুলে পাচার করা হত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। লকডাউনে কাজ হারিয়ে এলাকার অনেকেই আয়ের লোভে পাচারের কাজে জড়িয়ে পড়ছে বলে জানতে পারছে পুলিশ। কেউ সোনা, কেউ ইলিশ মাছ পাচার করছে। গাঁজা, ওষুধ, প্রসাধনীও পাচার হচ্ছে।

Bike trafficking Arrest Gobardanga
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy