শিক্ষককে মারধর, উত্তেজনা হাসনাবাদে
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাসনাবাদ
শিক্ষককে মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদের বাইলানিতে। সহিদুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তি পূর্ব কেজুরবেড়িয়া এমসি ইন্সটিটিউশনের শিক্ষক। তাঁকে তৃণমূলের কার্যালয়ে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। প্রতিবাদে ওই কার্যালয়েও ভাঙচুর চালায় ছাত্রেরা। সহিদুল সিপিএমের শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে ভোটের প্রচারের কাজও করছেন ইদানীং। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক কারণে তৃণমূলের লোকজনই তাঁর উপরে চড়াও হয়ে মারধর করেছে। শিক্ষকের উপরে হামলার নিন্দা করে তৃণমূল নেতা তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “শিক্ষকদের নিজেদের মধ্যে বিবাদের জেরে এই কাণ্ড ঘটেছে। এর সঙ্গে আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়।” বস্তুত, ওই স্কুলে শিক্ষকদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কিছু দিন ধরেই গোলমাল চলছে। শিক্ষকদের এ হেন আচরণে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে এ দিন বিকেল থেকে রাত প্রায় ৮টা পর্যন্ত শিক্ষকদের ঘেরাও করে রাখে পড়ুয়াদের একাংশ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘেরাও ওঠে। প্রধান শিক্ষক সমরেশচন্দ্র মণ্ডলের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন কেটে দেন।
দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হল। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বকখালি-নামখানা রোডে কয়লাঘাটা মোড়ের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত রবিন লায়া (২৪) দক্ষিণ চন্দ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ রবিনবাবু রাস্তা পার হচ্ছিলেন। বকখালি থেকে নামখানাগামী এসডি-১৭ রুটের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। পুলিশ গাড়িটি আটক করেছে। চালকও গ্রেফতার। মৃতের পরিবারের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সকাল ৯টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
স্কুল থেকে পালিয়ে। ক্যানিংয়ে মাতলার পাড়ে। ছবিটি তুলেছেন শশাঙ্ক মণ্ডল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy