বিধায়কের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগকে ঘিরে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে মারপিট বাধল সাগরে।
দু’দলের ৫ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক বিজেপি সমর্থককে কাকদ্বীপ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুই বিজেপি নেতাকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে সাগরের তৃণমূল বিধায়ক বঙ্কিম হাজরার জামাই তথা তৃণমূলের যুবনেতা স্বপন প্রধানের বিরুদ্ধে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে গঙ্গাসাগর পঞ্চায়েতের নারায়ণী আবাদ এলাকায় একটি বাড়িতে বুথ কমিটি গঠন করছিল বিজেপি। তৃণমূলের অভিযোগ, ব্লকের নানা উন্নয়নের জন্য বিধায়ক ‘কাটমানি’ খাচ্ছেন বলে বিজেপির তরফে অপপ্রচার করা হয়। সেখান থেকে একটু দূরে গঙ্গাসাগরের উপপ্রধান তপন পাইক এবং স্বপনবাবু অন্য একটি বৈঠক করছিলেন বলে দাবি বিজেপির। তাদের বক্তব্য, স্বপনবাবুরা আচমকাই সেখানে হাজির হয়ে গোলমাল বাধান। দু’দলের মধ্যে বচসা, মারামারি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে।
বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, স্বপনবাবুদের নেতৃত্বেই হামলা চালানো হয়েছে। তাতে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য ত্রিদিব ঢালি জখম হন। ত্রিদিববাবুকে নিয়ে বিজেপির সাগর মণ্ডলের সদস্য বুদ্ধদেব ভুঁইয়া হাসপাতালের দিকে রওনা হন। পথে ফের দু’জনকে পেটানো হয় বলে অভিযোগ।
বুদ্ধদেববাবুর অভিযোগ, ‘‘ওসিকে বার বার বললাম, আমাদের একটু এগিয়ে দিন হাসপাতালে যাব। কিন্তু তিনি আশ্বাস দিলেও তা করেননি। তাই আমাদের ফের মার খেতে হল। পানাপুকুরে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছি।’’ রাতে ত্রিদিববাবুকে সাগর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুবনেতা স্বপনবাবু এবং উপপ্রধান তপনবাবু। স্বপনবাবু ঘটনার সময়ে তিনি এলাকায় ছিলেন না বলেই দাবি করেছেন। ওই নেতাদের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি নেতাদের প্ররোচনামূলক ও কুরুচিকর মন্তব্য শুনে এলাকার কিছু মানুষ রুখে দাঁড়ান। তাঁদের সঙ্গে বচসা শুরু হলে দলের কয়েকজন কর্মী সেখানে যান। তাঁদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে।’’ তাঁদের দলেরও তিনজন জখম হয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের। শনিবার কাকদ্বীপে এসডিপিও-র দফতরে ৫ তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ত্রিদিববাবু, বুদ্ধদেববাবু-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধেও থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy