Advertisement
E-Paper

অভাবের সংসারে সৌরভ-সুপ্রিয়ারাই ভরসা বাবা-মায়ের

ক্যানিংয়ের মাতলা ১ পঞ্চায়েতের পুরানো চাঁদনির বাসিন্দা বিদ্যালাল ভকতের দুই ছেলেমেয়ে এবার মাধ্যমিকে বসেছিল। ক্যানিংয়ের ডেভিড সেশুন হাইস্কুল থেকে ৫৫৮ নম্বর পেয়ে ভাল ফল করেছে ছেলে সৌরভ।

সামসুল হুদা

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৮ ০১:৪৭
উচ্ছ্বাস: পরিবারে। নিজস্ব চিত্র

উচ্ছ্বাস: পরিবারে। নিজস্ব চিত্র

ঘরের দেওয়াল থেকে প্লাস্টার খসে পড়ছে। ভাঙাচোরা বাড়ি। মেরামত করার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই পরিবারের। গৃহকর্তা ওষুধের দোকানের সামান্য কর্মচারী।

ক্যানিংয়ের মাতলা ১ পঞ্চায়েতের পুরানো চাঁদনির বাসিন্দা বিদ্যালাল ভকতের দুই ছেলেমেয়ে এবার মাধ্যমিকে বসেছিল। ক্যানিংয়ের ডেভিড সেশুন হাইস্কুল থেকে ৫৫৮ নম্বর পেয়ে ভাল ফল করেছে ছেলে সৌরভ। পাঁচটি লেটারও আছে। মেয়ে সুপ্রিয়া পড়ত দ্বারিকানাথ বালিকা বিদ্যালয়ে। সে পেয়েছে ৩১৫ নম্বর।

টানাটানির সংসারে গৃহশিক্ষক ছিল না কারও। পরীক্ষার আগে স্থানীয় একজন কিছুটা পড়া দেখিয়ে দিতেন। সারা দিনে ৮-১০ ঘণ্টা পড়াশুনা করত সৌরভ। অবসর সময়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা, গোয়েন্দা গল্প পড়তে ভালবাসে। সুপ্রিয়া মায়ের সঙ্গে সংসারের কাজ সামলে ৬-৭ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছে। সৌরভ এ বার চায় বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখে দরিদ্র পরিবারের ছেলেটি। সুপ্রিয়া চায় শিক্ষিকা হতে।

বড় মেয়েকে বেশি দূর পর্যন্ত পডা়তে পারেনি বিদ্যালাল ও তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা। গত বছর বিয়ে দিয়ে দেন। সুমিত্রা বলেন, ‘‘অভাবের কথা তো ওদের অজানা নয়। তাই ছেলেমেয়ে দু’টোর কোনও চাহিদা ছিল না। যা পেয়েছে, যতটুকু পেয়েছে, হাসিমুখে সেটা দিয়েই কাজ চালিয়েছে।’’ সৌরভ বলে, ‘‘বড় হয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই। সংসারের হাল ধরতে চাই।’’

বিদ্যালালের কথায়, ‘‘সামান্য রোজগার। বাড়িটা ভেঙে পড়ছে, সেটা পর্যন্ত মেরামত করতে পারছি না। ছেলেমেয়ের পড়ার খরচ এ বার সামলাব কী করে, কে জানে!’’

Madhyamik result WBBSE মাধ্যমিক
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy