ফাঁকা-বাজার: হাবড়া সুপার মার্কেট। ছবি: সুিজত দুয়ারি
জ্বর-ডেঙ্গির ভয়ে বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা আসছেন না হাবড়ায়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা।
ইতিমধ্যে জ্বর-ডেঙ্গি ছড়িয়েছে হাবড়ায়। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে হাবড়া শহরের ব্যবসায়। জেলার অন্যতম ব্যবসায়ী কেন্দ্র হাবড়া। এখানে বড় চালের বাজার রয়েছে। আছে কাপড়ের ব্যবসা। ব্যবসার জন্য রোজ হাবড়ার গ্রামীণ এলাকা ছাড়াও অশোকনগর, গাইঘাটা, হরিণঘাটা, নগরউখরা, গোবরডাঙা, স্বরূপনগর বাদুড়িয়া-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা এখানে আসেন। দিনের বেলাতেই মূলত ব্যবসা চলে। জ্বর-ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা হলেও কমছে। হাবড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্পাদক নিরঞ্জন সাহা বলেন, ‘‘জ্বর-ডেঙ্গির কারণে বহু ক্রেতা বাইরে থেকে হাবড়াতে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরাও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’’
এ দিকে জ্বর-ডেঙ্গি নিয়ে রোজই রোগীরা ভিড় করছেন হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৮৫ জন। শনিবার তা বেড়ে হয়েছে ১০০। হাসপাতাল সুপার শঙ্করলাল ঘোষ বলেন, ‘‘ডেঙ্গি রোগী গত দু-তিন দিন কিছুটা কমেছিল। আবার বেড়েছে।’’
শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আসেন। হাবড়ায় ডেঙ্গি-জ্বরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে ডেঙ্গি রোগীদের সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে তাঁরা খোঁজ-খবর নেন। সুপার-সহ অন্য ডাক্তারদের সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ কথা বলে এই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগী ও ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা নার্সদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। এ দিকে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে পুলিশ পুরসভা ও ব্যবসায়ী সংঠনের তরফে মানুষকে সচেতন করতে প্রচার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এতকিছুর পরেও অবশ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ হয়নি। হাবড়া মিষ্টান্ন সমিতির সম্পাদক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সোমবার থেকে আমরা প্লাস্টিকের কনটেনারের পরিবর্তে মাটির পাত্র ব্যবহার করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy