প্রায় এক দশক আগে সুন্দরবনে মাছ-কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের কবলে পড়েছিলেন গোসাবার অনাথবন্ধু কয়াল। তাঁর দেহ আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরিবারের ক্ষতিপূরণও মেলেনি। অবশেষে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন অনাথবন্ধুর স্ত্রী অনিতা কয়াল।
ক্ষতিপূরণ না পেয়ে ২০২৪ সালে মামলা করেছিলেন তিনি। সেই মামলায় সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, আট সপ্তাহের মধ্যে বাঘের হাতে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ বাবদ বরাদ্দ পাঁচ লক্ষ টাকা অনিতাকে দেবে রাজ্য বন দফতর।
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দা এবং আর্থিক ভাবে দুর্বল অনিতাকে আইনজীবী দিয়েছিল হাই কোর্টের আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ (লিগাল এড)। অনিতার আইনজীবী শুভেন্দু বন্দোপাধ্যায় জানান, ২০১৫ সালের অক্টোবরে বাঘে নিয়ে যায় অনাথবন্ধু। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চার সঙ্গীর বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশের রিপোর্টে বাঘের হামলায় মৃত্যুর কারণ লেখা হয় এবং সাতজেলিয়া পঞ্চায়েত মৃত্যুর শংসাপত্র দিয়েছিল।
বিচারপতি সিংহ বাঘের হানায় নিখোঁজ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার না হলে রাজ্যের কী নির্দেশিকা, তা জানতে চেয়েছিলেন। এ দিন রাজ্যের কৌঁসুলি জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্টে ‘বাঘের হামলায় মৃত্যু’ বলা থাকলে তবেই ক্ষতিপূরণের বিবেচনা করা হয়। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বাঘ দেহ নিয়ে জঙ্গলে ঢুকেছে, এই ঘটনা ওই চারজন দেখেছেন। কিন্তু দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্ভব নয়। তাই এ ক্ষেত্রে মৃতের স্ত্রী ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)