Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Crime

Crime: সম্পর্কে টানাপড়েন, প্রথম স্বামীর গাড়িতে আগুন দিলেন তরুণী, সঙ্গী দ্বিতীয় স্বামী

বছরখানেক আগে আমিনুলকে ছেড়ে ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান তরুণী। এর পর থেকেই আমিনুলের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল বলে অভিযোগ।

রবিবার রাতে এই গাড়িতে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ।

রবিবার রাতে এই গাড়িতে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২২ ১৮:২৭
Share: Save:

সম্পর্কে টানাপড়েনের জেরে প্রথম স্বামীর গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তরুণী এবং তাঁর ‘দ্বিতীয় স্বামী’র বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ডায়মন্ড হারবারের এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ডায়মন্ড হারবারের আমিনুল মণ্ডলের (নাম পরিবর্তিত) একটি চার চাকার গাড়ি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। ওই গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে তাঁর তরুণী স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এতে শামিল ছিলেন ওই তরুণীর ‘দ্বিতীয় স্বামী’ও।

স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে আমিনুলের। তবে খাতায়কলমে আমিনুলের স্ত্রী হলেও এলাকায় এক যুবককে বিয়ে করেছেন তিনি। আমিনুলের পরিবারের অভিযোগ, এলাকারই ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল স্ত্রীর। বছরখানেক আগে আমিনুলকে ছেড়ে ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান তরুণী। এর পর থেকেই আমিনুলের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল বলে অভিযোগ। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে আমিনুলের ব্যাপক বচসাও হয়। এমনকি, ওই ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

আমিনুলের পরিবারের আরও অভিযোগ, রবিবার গভীর রাতে বাড়ির পাশে দাঁড় করানো ছিল চার চাকার গাড়িটি। সেই সময় ওই তরুণী এবং তাঁর ‘দ্বিতীয় স্বামী’ আনিস মণ্ডল (নাম পরিবর্তিত) এসে গাড়িতে আগুন লাগিয়ে চম্পট দেন। নিমেষে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গাড়ি। খবর দেওয়া হয় দমকলকে। তত ক্ষণে অবশ্য গাড়িটি প্রায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। পরে দমকলের ১টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি কেসও শুরু করা হয়েছে।’’ যদিও এ নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারকে বার বার ফোন করা হলেও তা ধরেননি তিনি। এমনকি, হোয়াটসঅ্যাপে করা মেসেজেরও জবাব দেননি।

(এই প্রতিবেদনে প্রকাশিত প্রতিটি নামই পরিবর্তিত।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Diamond Harbour
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE