মোটর বাইক দুর্ঘটনায় জখম হয়েছিল এক কিশোর। চিকিৎসার জন্য এসেছিল হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে যখন বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, তখনই তার গা ছুঁয়ে, মাথার উপর থেকে খসে পড়ল সিলিং ফ্যান!
বুধবার রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল সৌরভ মণ্ডল নামে জখম বছর সতেরোর ওই কিশোর। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে সে। কিন্তু গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত রোগী ও তাঁদের আত্নীয়-স্বজন।
হাসপাতালের সুপার শঙ্করলাল ঘোষ ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পূর্ত দফতরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিয়ারেরা নিয়মিত হাসপাতালে এসে ওয়ার্ডের ফ্যানগুলি পরীক্ষা করে যান। কী ভাবে তাঁদের নজর এড়িয়ে গেল ওই ফ্যানটি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
ঘটনার পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ারেরা হাসপাতালে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘যে লোহার আংটার সঙ্গে ফ্যানটি লাগানো ছিল, তা ক্ষয়ে গিয়েই ওই বিপত্তি।’’ হাসপাতাল সূত্রের খবর, ১৫টি ফ্যান বদলের জন্য এর আগেই বলা হয়েছিল পূর্ত দফতরকে। কিন্তু বুধবার রাতের ঘটনার পরে হাসপাতালের তরফে ৮৪টি ফ্যান বদলে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
সৌরভের বাড়ি গাইঘাটার জলেশ্বর চণ্ডীগড় এলাকায়। বাবা বাসুদেব ভ্যান চালান। তাঁর কথায়, ‘‘একটা দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে হাসপাতালে এনেছিলাম ছেলেকে। কিন্তু এখানে এসেও যে এমন বিপদের মধ্যে পড়তে হবে, তা ভাবিনি।’’
হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর আত্মীয়ের কথায়, ‘‘ভয়ঙ্কর ঘটনা। এ ভাবে তো বেঘোরে মানুষ মারাও পড়তে পারে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও লোকে নিরাপত্তা পাবে না?’’
উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘হাবরার ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে সমস্ত ইলেক্টিক্যাল যন্ত্রপাতি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় বলেও তাঁর দাবি।