E-Paper

ইমারতি দ্রব্য চুরির অভিযোগে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ ৩

পুলিশ জানিয়েছে, সাতগাছিয়া এলাকার এক ইমারতি দ্রব্য ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে প্রায়ই পাথরকুচি, ইট, বালি চুরি যাচ্ছিল। চোর ধরতে ওই ব্যবসায়ী এর পরে সজাগ ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৫ ০৯:৫০
ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম মইদুল মল্লিক।

ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম মইদুল মল্লিক। —প্রতীকী চিত্র।

দীর্ঘ দিন ধরে ইমারতি দ্রব্য চুরি, বিক্রি এবং তা কেনার অভিযোগে এক সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম মইদুল মল্লিক। সে নোদাখালি থানার অধীন বিড়লাপুর ফাঁড়িতে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজ করত।

পুলিশ জানিয়েছে, সাতগাছিয়া এলাকার এক ইমারতি দ্রব্য ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে প্রায়ই পাথরকুচি, ইট, বালি চুরি যাচ্ছিল। চোর ধরতে ওই ব্যবসায়ী এর পরে সজাগ ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে ফের চুরির ঘটনা ঘটার সময়ে গাড়ি নিয়ে আসা তিন জনের মধ্যে দু’জনকে ধরে ফেলেন ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর লোকজন। তবে, চালক গাড়ি নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায়। দুই চোরকে নোদাখালি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তারা সিভিক ভলান্টিয়ার মইদুলকে চুরির জিনিসপত্র বিক্রি করত। মইদুলের নিজেরও ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা রয়েছে। এর পরে মইদুলকে আটক করে নোদাখালি থানায় নিয়ে আসা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, মইদুলের মোবাইলের কল লিস্ট দেখে জানা যায়, ওই দুই চোরের সঙ্গে প্রায় প্রতি রাতেই তার কথা হত। জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করে মইদুল। এর পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার মইদুল-সহ তিন জনকে আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক তাদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

তদন্তকারীদের অনুমান, শুধু সাতগাছিয়া এলাকা নয়, বিভিন্ন এলাকা থেকে ইমারতি দ্রব্য চুরি করে এনে মইদুলের কাছে বিক্রি করত ওই দুই যুবক।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Civic volunteer Thief

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy