এখানেই পড়েছিল অমিতের দেহ।
বাড়ির কাছেই খুন হলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটার মধ্য বকচরা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম অমিত বিশ্বাস (৩৭)। বাড়ি ওই এলাকায়। তিনি বিধাননগর নর্থ থানায় কর্মরত ছিলেন।
বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় বলেন, ‘‘খুনের কারণ স্পষ্ট নয়। ভারী কিছু দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান। কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ অমিতবাবু বাড়ির কাছে বাউল গান শুনতে গিয়েছিলেন। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। রাত দেড়টা নাগাদ স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে অমিতবাবুর দাদা মিঠুনবাবু খবর পান, পাশেই বকচরা প্রাথমিক স্কুলের মাঠে তাঁর ভাইকে মারধর করা হচ্ছে। খবর পেয়ে তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন, দুই যুবক মোটরবাইকে পালিয়ে যাচ্ছে। অমিত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।
অমিত।নিজস্ব চিত্র।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে মদ ও মুড়ি পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খুনের ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত নয়। মদের আসরে কোনও বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বচসার জেরে ওই ঘটনা।
বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে দেখা গেল, ঘটনাস্থলে রক্ত পড়ে রয়েছে। পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। গ্রামের মধ্যে এ ভাবে যুবক খুন হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
মিঠুনবাবু বলেন, ‘‘ভাই অপরিচিত কারও সঙ্গে মিশত না। যারা ভাইকে খুন করেছে, তারা নিশ্চয়ই ওর পরিচিত।’’ দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন অমিতবাবুর মা রুমাদেবী। তিনি বলেন, ‘‘ছেলের কোনও শত্রু ছিল না।’’ দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy