Advertisement
০৪ মে ২০২৪

সহপাঠিনীর ফোনে বিয়ে রোখা গেল কিশোরীর

ফোনের ও পার থেকে কিশোরীর কাতর কণ্ঠ। ‘‘আমার বন্ধু পড়তে চায়। ওকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। আপনারা কিছু একটা করুন।’’ বসিরহাট থানার কর্ত্যবরত ডিউটি অফিসারের কাছে ফোনটা আসে শুক্রবার দুপুরের দিকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৬ ০১:৫৩
Share: Save:

ফোনের ও পার থেকে কিশোরীর কাতর কণ্ঠ। ‘‘আমার বন্ধু পড়তে চায়। ওকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। আপনারা কিছু একটা করুন।’’

বসিরহাট থানার কর্ত্যবরত ডিউটি অফিসারের কাছে ফোনটা আসে শুক্রবার দুপুরের দিকে। পরিচয় দিতে রাজি না হওয়া মেয়েটি বলে, সে আর তার বন্ধু পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে। বয়স মাত্র চোদ্দো। কিন্তু বাধ্য হয়ে বন্ধুকে বসতে হচ্ছে বিয়ের পিঁড়িতে। ‘‘এই বয়সে বিয়ে হয়ে গেলে পড়াশোনাটা আর চালাতে পারবে না ও’’— গলায় বিষাদ ঝরে পড়ে মেয়েটির।

ফোন পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। বিষয়টি জানানো হয় আইসি দেবাশিস চক্রবর্তীকে। ঠিকানা জেনে নেওয়া হয় পাত্রীর। খবর যায় বিডিও অফিসে। সকলের তৎপরতায় চাঁপাপুকুর পঞ্চায়েত এলাকায় ওই বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।

একই দিনে জেলা সমাজকল্যাণ দফতর মারফত বসিরহাট ১ বিডিওর কাছে খবর যায়, আরও দুই নাবালিকার বিয়ের তোড়জোড় চলছে। পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরা গিয়ে সেই বিয়েও বন্ধ করেছেন। তিন পাত্রই ‘ভুল’ স্বীকার করেছে। সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে জানিয়েছেন বাবা-মায়েরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Phone Classmate
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE