E-Paper

বেহাল নদীবাঁধ, উদাসীন প্রশাসন

টাকি পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল সৈকতের পাশ থেকে নদীবাঁধ ভগ্নপ্রায়। এই অংশের বাঁধ নিচু হয়ে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫৩
বেহাল বাঁধ : বাঁধ নিচু হয়ে রাস্তার সমান হয়ে গেছে।

বেহাল বাঁধ : বাঁধ নিচু হয়ে রাস্তার সমান হয়ে গেছে। —নিজস্ব চিত্র।

দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল টাকি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাখাল নদীর প্রায় ২০০ ফুট বাঁধের। উদাসীনতার অভিযোগ উঠছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

টাকি পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল সৈকতের পাশ থেকে নদীবাঁধ ভগ্নপ্রায়। এই অংশের বাঁধ নিচু হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া, হাসনাবাদ পুরাতন বাজার চত্বরেও বাঁধ নিচু হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় মানুষের দাবি, এই অংশ বাঁধ এতটাই নীচে নেমে গিয়েছে যে, ভরা কটালে জোয়ারের সময়ে জল রাস্তায় চলে আসে। ফলে এই সব জায়গার সমস্ত দোকানে নদীর জল ঢুকে যায়। নজরুল সৈকত চত্বরে বেশ কিছু দোকানের প্রবেশপথে এক দেড় ফুট উঁচু করে ইট দিয়ে গেঁথে দেওয়া হয়েছে যাতে নদীর জল দোকানে ঢুকতে না পারে। ওই সময়ে রাস্তায় হাঁটুসমান জল জমে যায়। জল ঠেলে হাসনাবাদ পুরাতন বাজার, হাসনাবাদ থানা চত্বরে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির সিঁড়ি বা কারও কারও ঘরের ভিতরেও নদীর নোনাজল চলে যায়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সুকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই অংশে বাঁধের অবস্থা প্রায় সাত বছর ধরে খারাপ। কখনওই পাকাপোক্ত ভাবে এই অংশের বাঁধ সংস্কার হয়নি। জোড়াতালি দেওয়ার চেষ্টা করা হয় পাইলিং করে বালির বস্তা ফেলে। সে সব খুব একটা কার্যকরী হয় না। দ্রুত এই অংশে কংক্রিটের বাঁধ করা দরকার।”

স্থানীয় সিপিআই নেতা রঞ্জন সরকার বলেন, “এই চত্বরে নদীবাঁধ বেহাল। বনবিবি সেতু থেকে পুরাতন বাজার পর্যন্ত প্রায় আধ কিলোমিটার নদীবাঁধ কংক্রিটের করা দরকার। জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করলে আর টিকবে না।” রঞ্জন আরও জানান, টাকি পুরসভা ২০০৯ সালে যখন বামেদের দখলে ছিল, তখন এই চত্বরে প্রায় আধ কিলোমিটার কংক্রিটের বাঁধ তৈরির জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল। তবে তারপরেই বামেরা ক্ষমতা হারায়, তৃণমূল ক্ষমতায় আসে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত কংক্রিটের বাঁধ হয়নি।

টাকি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর গোবিন্দ সরকারও বাঁধের সমস্যার কথা মেনে নেন। পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই অংশে কংক্রিটের বাঁধ তৈরি সেচ দফতর ছাড়া সম্ভব নয়। দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। বিষয়টি সেচ দফতর বিবেচনা করে দেখছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

taki

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy