৪ ও ৫ নম্বর স্নানঘাট দখল করে চলছে বাঁশের ব্যবসা। নিজস্ব চিত্র।
কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে সাগরমেলা। মেলার ক’দিন সাগরদ্বীপে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর নিরাপত্তা থেকে শুরু করে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন। কিন্তু মেলা মিটতেই আর বিশেষ পরিষেবা বা সুবিধা মিলছে না বলে অভিযোগ তুলছেন গত কয়েকদিনে এ তল্লাটে আসা পুণ্যার্থীরা। শনিবার সকালে সমুদ্রতটের ৪ ও ৫ নম্বর স্নানঘাটে দেখা গেল, সেখানে বাঁশ মজুত করে ব্যবসা শুরু করেছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। কোনও পুণ্যার্থীকে স্নান করতে দেওয়া হচ্ছে না।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, ‘‘সমুদ্রতটে পুণ্যার্থীদের স্নানের জায়গায় তো কোনো বাঁশ রাখার কথা নয়। কারা এই কাজ কাজ করছে, খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’
সারা বছরই সাগরদ্বীপে পুণ্যার্থীরা আসেন। মেলা শেষ হলে সুযোগ-সুবিধা বা পরিষেবা বিশেষ মেলে না, এই অভিযোগ নতুন নয়। ফলে, বহু পুণ্যার্থীদকেই বছরের অন্য সময়ে এখানে এসে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ বারও অনেকের অভিযোগ, মেলা শেষ হওয়ার পরে পানীয় জল মিলছে না। শৌচালয়েরও ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে তাঁরা যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করছেন। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
শনিবার বিহার থেকে আসা সঞ্জয় যাদব নামে এক পুণ্যার্থী বলেন, ‘‘বাস স্ট্যান্ডে কোথাও শৌচাগার না পেয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে কাজ সারতে হয়েছে। খাবার জল পর্যন্ত নেই। এতই অব্যবস্থা।’’
স্থানীয় ব্যবসায়ী সাবিনা বিবির খেদ, ‘‘পুণ্যার্থীরা এসে পানীয় জল, শৌচাগার না পেয়ে আমাদের বলছেন। শুনতে ভাল লাগছে না।’’
ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পানীয় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা দ্রুত করা হচ্ছে। এ ছাড়া রাতে আলোর ব্যবস্থাও হচ্ছে সমুদ্রতটে।’’
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলার সময় ১, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ঘাট পুণ্যার্থীদের স্নানের জন্য উপযুক্ত করে তোলা হয়েছিল। কিন্তু মেলার শেষে ১ নম্বর ঘাটের পরিকাঠামো খারাপ হয়ে যায়। ৬ নম্বর স্নানঘাট এখন ব্যবহারের অযোগ্য। ৪ ও ৫ নম্বর ঘাট স্নানের জন্য উপযুক্ত থাকলেও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মজুত বাঁশ।
পুণ্যার্থীদের অভিযোগ, বাধ্য হয়ে তাঁরা অতিরিক্ত টোটো ভাড়া দিয়ে ১ নম্বর স্নানঘাট থেকে ৩০০ মিটার দূরে গিয়ে স্নান করছেন। প্রশাসন সব দেখেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy