Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Anganwadi center

অঙ্গনওয়াড়ির শিক্ষিকাকে মারধর, খুনের চেষ্টার অভিযোগ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নূরনগর পঞ্চায়েতের দোহারিয়া গ্রামের ৪০ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না তথা সহায়িকার কাজ করেন ফেরদৌসি বেগম।

প্রতিবাদ: দোহারিয়া গ্রামে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

প্রতিবাদ: দোহারিয়া গ্রামে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৫১
Share: Save:

অঙ্গনওয়াড়ির শিক্ষিকাকে মারধর করে উনুনের মধ্যে ফেলে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রের সহায়িকার বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার দোহারিয়া গ্রামে। সহায়িকাকে তালাবন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নূরনগর পঞ্চায়েতের দোহারিয়া গ্রামের ৪০ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না তথা সহায়িকার কাজ করেন ফেরদৌসি বেগম। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রায়ই দেরিতে কেন্দ্রে আসেন তিনি। ছাত্রছাত্রীদের খাবার দিতে দেরি হয়। সম্প্রতি দেগঙ্গা শিশু বিকাশ সংহতি দফতরের আধিকারিককে লিখিত অভিযোগও জানান গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার আধিকারিক ফেরদৌসিকে ডেকে সতর্ক করেন। সকাল ৮টার মধ্যে স্কুলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।

শুক্রবার ফের ওই সহায়িকা দেরিতে আসেন বলে অভিযোগ। তাঁকে হাজিরা খাতায় সই করতে দেননি শিক্ষিকা পারভিন সুলতানা। তা নিয়ে গোলমাল বাধে দুজনের। পারভিনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। উনুনের মধ্যে ফেলে গলা টিপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয় ছাত্রছাত্রীরা।

গ্রামবাসীরা এসে রাঁধুনিকে ওই কেন্দ্রের মধ্যে তালাবন্ধ করে রাখেন। তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পরে পুলিশ। পরে অবশ্য গ্রামবাসীদের শান্ত করে পুলিশ রাঁধুনিকে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, “আমি অনেক দূর থেকে আসি। তাই মাঝে মধ্যে আসতে দেরি হয়। হাজিরা খাতায় সই করতে চাইলে আমাকে সই করতে না দিয়ে মারধর করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমার স্বামী এলে, তাঁকেও মারধর করা হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Anganwadi center Basirhat Attempt To Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE