Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Crime Against Women

ছাত্রীকে স্কুলেই ধর্ষণের নালিশ, ধৃত শিক্ষক

পুলিশ ও কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ষোলোর মেয়েটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। পরিজনেরা জানান, সে আশি শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী। ঠিক মতো হাঁটতে পারে না।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উত্তর ২৪ পরগনা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৪৫
Share: Save:

স্কুলের মধ্যেই শারীরিক প্রতিবন্ধী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার একটি স্কুলে। ছাত্রীর পরিবারের তরফে মঙ্গলবার থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত গণিত শিক্ষককে গ্রেফতার করে। সে তার এক সহকর্মীর উপরে দোষ চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল বলেও অভিযোগ। বুধবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। অসুস্থ কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক পরীক্ষা করানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিচারকের কাছে কিশোরীর গোপন জবাববন্দি দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিক্ষক দাবি করেছে, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা।

পুলিশ ও কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ষোলোর মেয়েটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। পরিজনেরা জানান, সে আশি শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী। ঠিক মতো হাঁটতে পারে না। কিছুটা মানসিক সমস্যাও আছে। কিশোরীর মা বিড়ি শ্রমিক। বাবা বিভিন্ন মেলায় শ্রমিকের কাজ করেন। অভাবের সংসারে মেয়েকে পড়াশোনা শিখিয়ে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।কিশোরীর মেসোর অভিযোগ, ‘‘এর আগেও ওই শিক্ষক একাধিক বার মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছে। সে বাড়িতে এসে জানিয়েও ছিল। কিন্তু ভয়ে-লজ্জায় বাবা-মা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেননি।’’ অভিযোগ, মঙ্গলবার স্কুল ছুটির পরে ওই শিক্ষক মেয়েটিকে বই দেবে বলে ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা যাতে কাউকে না জানায়, সে জন্য মেয়েটিকে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

কিশোরীর পরিবারের দাবি, স্কুল থেকে বাড়ি এসে সে চুপচাপ ছিল। রাতে ঘুমোনোর আগে পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। মাকে তখন সব বলে। রাতেই পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরী ওই শিক্ষকের নাম জানত না। শুধু জানত, সে অঙ্ক করায়। তবে শিক্ষককে কিশোরীর অভিভাবকেরা চিনতেন। তাঁরা ওই শিক্ষককে ফোন করেন। পরিবারের অভিযোগ, স্কুলেরই অন্য এক গণিতের শিক্ষকের নাম বলে সে। পুলিশ সেই শিক্ষককে থানায় আনে। কিন্তু কিশোরী পুলিশের দেখানো ছবি দেখে আসল অভিযুক্তকে চিনিয়ে দেয়। এরপরই গ্রেফতার করা হয় তাকে। কিশোরীর মেসো বলেন, ‘‘কোনও শিক্ষক যখন এ রকম ঘৃণ্য আচরণ করে, তখন তিনি তাঁর মর্যাদা পরিচয় হারান। অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rape case North 24 Parganas
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE