Advertisement
E-Paper

বিএসএফ ক্যাম্পে অত্যাচারের নালিশ বাগদায়

বিএসএফ ক্যাম্পে নির্যাতনের জেরে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাত ১টা নাগাদ ওই আজগর মণ্ডল (৩০) নামে অসুস্থ ওই যুবক মারা যান আরজিকর হাসপাতালে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:০৫
শোকার্ত: আজগরের পরিবার। ইনসেটে, আজগর। নিজস্ব চিত্র

শোকার্ত: আজগরের পরিবার। ইনসেটে, আজগর। নিজস্ব চিত্র

বিএসএফ ক্যাম্পে নির্যাতনের জেরে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাত ১টা নাগাদ ওই আজগর মণ্ডল (৩০) নামে অসুস্থ ওই যুবক মারা যান আরজিকর হাসপাতালে। আজগরের স্ত্রী মর্জিনা বাগদা থানায় বিএসএফের বিরুদ্ধে স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। বিএসএফের দাবি, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন আজগর। সোমবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ওই দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে।

পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাগদার মামাভাগিনা ক্যাম্পের জওয়ানরা আজগরকে পাকড়াও করে। বিএসএফ পুলিশকে জানায়, আজগরের কাছ থেকে সাদা পাউডার ও বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার হয়েছে। বিএসএফের দাবি, জেরায় আজগর জানান, তিনি বনগাঁর এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই মালপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।

বিএসএফ পুলিশকে জানিয়েছে, শনিবার সকালে আজগরকে তারা বাগদা থানায় নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পৌনে ৯টা নাগাদ আজগর ক্যাম্পের মধ্যেই কীটনাশক খান। তাঁকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল ও পরে আরজিকরে ভর্তি করা হয়।

মৃতের পরিবারের বক্তব্য, আজগর মুম্বইয়ে শ্রমিকের কাজ করতেন। সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছিলেন। শুক্রবার রাতে বিএসএফ তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। মর্জিনা বলেন, ‘‘স্বামী অসুস্থ ছিলেন। ক্যাম্পে নির্যাতন করা হয়েছিল।’’ তাঁর প্রশ্ন, ক্যাম্পে কী ভাবে কেউ কীটনাশক খেতে পারে?’’

নির্যাতনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ। দফতরের কর্তাদের দাবি, ক্যাম্পের যে ঘরে তাঁকে রাখা হয়েছিল, সেখানে ঘাস মারার কীটনাশক ছিল। সেটাই খেয়ে নেন আজগর।

প্রশ্ন উঠছে, যেখানে বন্দিকে রাখা হবে, সেখানেই বা কীটনাশক থাকবে কেন। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ মিলেছে। আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

Death Torture Complaint BSF
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy