প্রতীকী ছবি
ধরপাকড় এবং টানা প্রচারের জেরে উত্তর ২৪ পরগনায় ফের লকডাউন জারি হওয়া এলাকাগুলি শনিবার থেকে খানিকটা নিয়ন্ত্রণে বলা চলে। মধ্যমগ্রাম, বারাসত শহরাঞ্চল, দমদম, নিউ ব্যারাকপুর-সহ উত্তর শহরতলির কন্টেনমেন্ট জো়নগুলিতে এ দিন বন্ধ ছিল বাজার। বারাসত, দেগঙ্গা, দত্তপুকুরের কন্টেনমেন্ট জো়নে রাস্তায় মানুষ তেমন ছিল না। পুলিশি ধরপাকড়ের ভয়েই সম্ভবত বাড়ি থেকে অহেতুক বেরোতে দেখা যায়নি বাসিন্দাদের। মাস্ক না পরে এই এলাকাগুলিতে শুক্রবারও ঘুরতে দেখা গিয়েছিল মানুষকে। এ দিন তেমন বেপরোয়া মানুষের সংখ্যা ছিল কম।
নতুন নতুন কন্টেনমেন্ট জো়ন ঘোষণায় বিভ্রান্তিও ছড়াচ্ছে কিছু। যেমন, শুক্রবার বারাসত থানার বিবেকানন্দ রোড এলাকা কন্টেনমেন্ট জো়ন হিসেবে ব্যারিকেড করে পুলিশ। শনিবার সকালে দেখা গেল, পুলিশ সেই ব্যারিকেড খুলে দিচ্ছে। এই নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে থেকে প্রশ্ন উঠলে পুলিশ জানায়, এলাকাটি কন্টেনমেন্ট জো়ন খবর পেয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল। পরে জানা যায়, কন্টেনমেন্ট জো়ন নয়। বারাসতের ময়না এলাকায় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে কোয়রান্টিন কেন্দ্র করার পরিকল্পনা হচ্ছে জানতে পেরে শনিবার বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। নিয়ম ভেঙে এ দিন গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থকদেরও। বিধি ভেঙে বারাসতের একটি এলাকা জীবাণুমুক্ত করতে যান কয়েক জন বিজেপি-কর্মী ও সমর্থক। তাঁদের ফিরে যেতে বলে পুলিশ। তাও না শোনায় তাঁদের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে বারাসত জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যিনি-ই লকডাউন মানবেন না, তাঁকেই আটক করা হবে। এই জেলায় নতুন করে কয়েকটি এলাকা কন্টেনমেন্ট জো়ন হওয়ায় সেগুলিও এ দিন ব্যারিকেড করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy